নুরনবী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:হরিণমারী সরকার পাড়ায় দৃষ্টিনন্দন জামে মসজিদ উদ্বোধন।বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রত্যান্তঞ্চলে দৃষ্টিনন্দন সরকার পাড়া জামে মসজিদ উদ্বোধন করেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃসৈয়দ আলম।

প্রায় ৫০লাখ টাকা ব্যয়ে এ মসজিদের নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করেন হরিণমারী সরকার পাড়ার সুধীজন ব্যাক্তিরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর ) বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী সরকার পাড়া জামে মসজিদের শুভ উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মসজিদে প্রায় ৩-৪ শতাধিক মুসল্লীর জন্য নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা রয়েছে।

উদ্বোধনকালে এ্যাডভোকেট সৈয়দ আলম বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল একটি মসজিদ নির্মাণ করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আল্লাহর রহমতে। আপনারা সকলে আমাদের হরিণমারী সরকার পাড়া পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।
মসজিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম কমিশনার অব কাস্টমস
মোঃ মাজেদুল ইসলাম, ড. মোঃ হারুন অর রশিদ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাজশাহী ব্রি,মোঃ আশরাফুল ইসলাম
প্রিন্সিপাল শিবগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ,মোঃ হায়দার আলী( বিএসসি)
সহকারী প্রধান শিক্ষক রত্নাই বগুলাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ,মোঃ আব্দুর রশিদসাবেক চেয়ারম্যান ৭নং আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদ, মোঃ খবির উদ্দীন
ইমাম ও খতিব হরিণমারী সরকার পাড়া জামে মসজিদ,
মোঃ মাসুদ রানা প্রভাষক সমীরুদ্দীন স্মৃতি মহাবিদ্যালয়,
মোঃ আবদুল গফুর কোষাধক্ষ্য হরিণমারী সরকারপাড়া জামে মসজিদ, শহিদুল ইসলাম সহকারী শিক্ষক হরিণমারী উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ , আবদুল আজিজ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোঃ দুলাল হোসেন পোস্টমাষ্টার হরিণমারী হাট শাখা
ও সভাপতি ৭নং আমজানখোর ইউনিয়ন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দল।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের উদ্যোগে দেশব্যাপী তরুণদের জন্য ইনভেস্ট ইন ওমেন আইডিয়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষ করে দেশসেরা ছয় টিমকে চ্যালেঞ্জে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় এবং আজ ১০’ই মার্চ রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রতিটি টিমকে তাদের আইডিয়া বাস্তবায়ন করার জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

গত পাঁচ মার্চ সেভ দ্য চিলড্রেন গুলশানের হেড অফিসে সারাদেশ থেকে সেরা পনেরো টিমের গ্র‍্যান্ড ফাইনাল রাউন্ড প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাবি, জবি, রাবি, বুয়েট, ব্রাক, আইআইইউসি, হাজী দানেশ, বিএম সহ দেশসেরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। ফাইনাল প্রেজেন্টেশানে অংশগ্রহণকারী পনেরো ফাইনালিস্ট দলগুলো নির্ধারিত সাত মিনিটে তাদের আইডিয়া শেয়ার করে এবং পরবর্তীতে উপস্থাপিত আইডিয়া সম্পর্কিত বিচারকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে। সেভ দ্যা চিলড্রেন কতৃত আয়োজিত আইডিয়া চ্যালেঞ্জের প্রথম পর্বে সারাদেশ থেকে ৫৯ টি দল আইডিয়া সাবমিশন পর্বে অংশ নিয়েছিলো।

পঞ্চাশ হাজার টাকা ফান্ড বিজয়ী ঝালকাঠির টিম ‘স্টেম’ এ ছিলেন মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ, মোঃ মেহেরাব হোসেন রিফাত, নুসরাত জাহান, সৈয়দা জান্নাত ও জান্নাতুল ফেরদৌস নিছা।

রাজধানীতে আয়োজিত পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সন্তান মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ তাদের এ অর্জন ফিলিস্তিনে নির্যাতিত সংগ্রামী নারী ও শিশুদের জন্য উৎসর্গ করেন। তাদের অর্জিত এ ফান্ড থেকে ঝালকাঠির তরুণদের আত্মউন্নয়নে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।

গোলাম রাব্বানী, হরিপুর প্রতিনিধি।।ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ১নং ধর্মগর ইউনিয়নের লক্ষীর হাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক ক্রিয়াপ্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে, উক্ত অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি পোষণ করেছিলেন ঠাকুরগাঁও ২ আসনে সাত সাত বারের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম। সংবর্ধিত নেতা ঠাকুরগাঁও-২ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য

এবং জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম সুজন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ রফিবুল হাসান।
রাণীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা পরিষদের সন্মানিত চেয়ারম্যান,
সাবেক অধ্যক্ষ জনাব মোঃ সইদুল হক।
জনাব মোঃ সোহেল রানা, ভাইস চেয়ারম্যান রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ। এবং অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান, আবুল কাসেম। অত্র সভায় সভাপতিত্ব করেন, অত্র ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন সরকার।সহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীগণ সহ অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমল মতি ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশা শ্রেণির মানুষ এবং বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দগণ সহ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক।। জার্মানিতে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ১০ মিনিটে মিউনিখ বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে সোমবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি  ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী উপ প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস।

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে (এমএসসি) যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকারপ্রধান হিসেবে এটিই তার প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় সফর। সম্মেলন শেষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীসহ দেশে ফিরেন।

মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা এমএসসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।

সানাউল হক সানী।। যখন সমাজসেবায় একুশে পদক পাওয়ার সংবাদ পান জিয়াউল হক, তখনও তিনি ফেরি করে দই বিক্রি করছিলেন। নিজের হাতে বানানো দই। এরপর গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে সেই দই বিক্রির টাকায় চলে সংসার।

শুধুই কি নিজের সংসার- একজন গরীব মানুষ চাপাইনবাবগঞ্জের হাজার মানুষের কাছে হয়ে উঠেছিলেন পরম নির্ভরতার ঠিকানা। স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, অসহায় নারীদের কাছে আসন পেয়েছেন বাবার। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের কাছে একজন আদর্শ শিক্ষক। বই পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের কাছে আলোর মশাল।
অথচ একদিন সংসার চালানোর মত টাকাও উদ্বৃত্ত থাকে না তার। ৯০ বছর বয়সেও মাথায় দইয়ের ডালা নিয়ে ঘুরে বেড়ান গ্রামের পর গ্রাম। দু মুঠো খাবার জোগাতে বিশ্রাম নেই জীবনের।

বলিউড কিংবা তামিল ছবিতে এমন কাহিনীর উপর ভিত্তি করে অসংখ্য মুভি থাকলেও বাংলাদেশে রয়েছেন জলজ্যান্ত উদাহারণ।

মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পাশ জিয়াউল। দেড় টাকার জন্যে ক্লাস সিক্সে ভর্তি হতে পারেন নি। এরপর বাবার সঙ্গে নেমে যান দই তৈরিতে। শুরু করেন গ্রামে ঘুরে দই বিক্রি। কিন্তু মনের মধ্যে সুপ্ত ছিল একটা অমিমাংসিত অভিমান, নিজের উপর ক্ষোভ। টাকার জন্যে পড়াশোনা করতে না পারার আক্ষেপ।
সেই আক্ষেপ পরিণত করেন উদাহরণে। দই বিক্রির টাকা দেদার ঢালতে থাকেন ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের বই কিনতে। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের গরীব শিক্ষার্থীদেরও বই কিনে দেন জিয়াউল। বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়ান বাবার মতো ঢাল হয়ে। বাড়ি করে দেওয়ার পাশাপাশি ছোট কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। বিশুদ্ধ পানির জন্যে স্থাপন করেছেন অসংখ্য গভীর নলকূপ। ঈদ, পূজা-পার্বণে অসহায় পরিবারের জন্যে রাতের আধাঁরে নিয়ে যান নতুন পোশাক।
নিভৃত পাড়াগাঁয়ে ১৯৬৯ সালে নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার’। এ পাঠাগারে এখন বইয়ের সংখ্যা ১৪ হাজার।

জিয়াউল হকের জন্যে অতল শ্রদ্ধা। হাজার হাজার জিয়াউলের সম্মিলন ঘটুক বাংলাদেশে। সেইসঙ্গে অনেক ভুল মানুষকে পদক দেওয়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ একজন রত্ন খুঁজে বের করায়।
লেখক:
সানাউল হক সানী
সাবেক সাধারণ সম্পাদক,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি