ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃগাইবান্ধার পলাশবাড়ি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড উদয়সাগড় গ্রামের ইলিয়াস মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৮) এর জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করে ছলছাতুরির মাধ্যমে সোনালী ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ফ্যাক একাউন্ট খুলে লেনদেনের অভিযোগ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির। এরই প্রতিবাদে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শাকিল ও তার পরিবার।
৩১ আগস্ট রবিবার রাতে পলাশবাড়ী পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড উদয়সাগর গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী শাকিল।
এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের জানান, আমি আপনাদের মাধ্যমে জানাইতেছি যে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আমার জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আই,ডি স্মার্ট কার্ড যাহার নং- ৬৯০২৪৯৫৪৮৭, তারিখ-০১/০১/১৯৯৮ ইং সংগ্রহ করিয়া আমার
অগোচরে আমার আই,ডি কার্ড ব্যবহার করিয়া সোনালী ব্যাংক পলাশবাড়ী শাখা ও পলাশবাড়ী রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক,পলাশবাড়ী শাখায় আমার ছবি, স্বাক্ষর ব্যক্তিগত ফোন নম্বর, নমেনী ব্যতীত একাউন্ট খুলিয়াছে। আমি
ঢাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে থাকার সুবাদে হঠাৎ গত ২১/০৮/২০১০ তারিখ দুপুর অনুমান ०২.০০ ঘটিকার
সময় পলাশবাড়ী রাজশাহী কৃমি উন্নয়ন ব্যাংকের ০২ জন কর্মকর্তা আমার বাড়ীতে যায় এবং তাহারা আমার
বাবা'কে আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখা এবং ছবি দেখাইলে সে জানায় যে, আমার ছেলের ছবি নয়। তখন
ব্যাংক কর্মকর্তা বলে যে, আপনার ছেলের নামে একটি ফ্যাক একাউন্ট খুলিয়াছে।তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমার বাবা আমাকে মোবাইল ফোনে জানায়। ঐ দিন সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকার সময় পলাশবাড়ী থানার কর্মরত এ এস আই মোঃ নরুজ্জামান আমাকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, নওগা সাপাহার থানার এস আই মোঃ বাকেরসহ তার টিম আপনাকে খুজিতেছে। তখন আমি কারণ জানিতে চাহিলে সে জানায় যে, আমার নামের ফ্যাক একাউন্টে টাকা লেনদেন হইয়াছে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে কথাবার্তা তাহারা বলিবে। আমি বলি যে, ঢাকায় আছি। বাড়ী থেকে আমার
পরিবারের লোকজনরা কথা বলিবে। সাপাহার থানা পুলিশ আমাকে গ্রেফতারের হুমকী দেখাইয়াছে।আমি এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাইতেছি।
আমি আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের কাছে এইবার্তা পৌঁছাতে চাই যে, আমার এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে যে জালিয়াতি হয়েছে, তা অত্যন্ত বিপদজনক। এটি কেবল আমার জন্য নয়, যেকোন সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। এই ধরণের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।
তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি গোচরসহ আইনী সহায়তার মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিসহ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সহযোগীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা পাওয়ার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন করিতেছি।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য প্রদান কালে আরো উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী শাকিল এর বাবা ইলিয়াস মিয়া, মা নাজমা বেগম, বড় ভাই হুমায়ুন মন্ডল,সোলাইমান, ভগ্নিপতি হামিদুল, রবিউল , ভাতিজা ফেরদৌস সহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীগণ।
এই ঘটনায় নিরীহ পরিবারটির সকল সদস্যগণের মধ্যে ব্যাংকিং ও পুলিশি হয়রানির এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে বেনামি ঋণ নেওয়ায় গভীর সংকট তৈরি হয়েছে ব্যাংক খাতে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বন্ধকি জমির ভুয়া ঠিকানা ও জাল দলিল। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এক পরিচালক অন্য পরিচালকদের সঙ্গে যোগসাজশ করেও ঋণ নিয়ে থাকেন এবং পরস্পরকে ঋণ দিয়ে থাকেন। এসব কারণে একদিকে খেলাপির পরিমাণ ও সংখ্যা বেড়েছে, অন্যদিকে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ঋণসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করেন সচেতন মহল।
সম্পাদক : শাওন আমিন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোঃ গিয়াস উদ্দীন, নির্বাহী সম্পাদক : ঝড় আমিন প্রকাশক : মোঃ সোহরাব আলী
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: হালিশহর, চট্রগ্রাম। ঢাকা অফিস : বাসা নং ৫১/৩ ধানমন্ডি ৩/এ ঢাকা-১২০৯
মোবাইল : 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟒𝟏𝟓𝟖𝟓𝟑 𝟎𝟏𝟓𝟖𝟎𝟖𝟐𝟎𝟔𝟔𝟑 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟎𝟔𝟏𝟏𝟔𝟑 𝐄-𝐦𝐚𝐢𝐥 : 𝐬𝐡𝐚𝐰𝐨𝐧𝐚𝐦𝐞𝐞𝐧𝟓@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦