
চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ,দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।।জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্যসম্মত মাংস বিক্রয় নিশ্চিতকরণ এবং গভীর রাতে খাবারের দোকান খোলা রাখার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, “জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। পশু জবাইয়ের আগে রোগবালাই পরীক্ষা করা এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগের অনুমোদন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কোনোভাবেই অসুস্থ পশু জবাই বা অপরিষ্কার পরিবেশে মাংস বিক্রি করা যাবে না।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অয়ন ফারহান শামস, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজমূল হক, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রতন কুমার রায়, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ, রেস্তোরাঁ মালিক ও মাংস ব্যবসায়ীরা।
বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজমূল হক বলেন, “খাদ্যের সঙ্গে মানুষের জীবন জড়িত। তাই স্বাস্থ্যসম্মত মাংস বিক্রি ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা শুধু প্রশাসনের দায়িত্ব নয় বরং প্রতিটি ব্যবসায়ীর নৈতিক দায়িত্বও।”
বক্তারা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা ও নিয়ম মানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে সকল ব্যবসায়ীকে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি গভীর রাতে খাবার দোকান খোলা রাখলে তা যেন আইন-শৃঙ্খলার ব্যাঘাত না ঘটায়—সেদিকেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ইউএনও নির্দেশনা দেন—পশু জবাইয়ের আগে অবশ্যই প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরীক্ষার সার্টিফিকেট নিতে হবে, অনুমোদন ছাড়া কোনো পশু জবাই করা যাবে না, দোকান ও বাজার এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সভায় অ্যানথ্রাক্সসহ গবাদিপশুর সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক উপস্থাপনা উপস্থাপন করে। এতে পশু চিকিৎসা, টিকাদান ও সঠিকভাবে মাংস সংরক্ষণের বিষয়ে তথ্য ও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ইউএনও কামরুজ্জামান সরকার সভা শেষে বলেন, “খানসামা উপজেলায় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য বিক্রয় নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তদারকি অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধির এই কার্যক্রম নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে।”