গোলাম রাব্বানী হরিপুর প্রতিনিধি :টানা তিন ধরে বৃষ্টি আর দমকা বাতাসের কারণে, ঠাকুরগাঁওয়ের উপজেলার কৃষকেরা আমন ধান ও আলু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। রাতদিন রিমিঝিম বৃষ্টি আর আচমকা দমকা বাতাসের কারণে আমন ধানের গাছ গুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে, তার সাথে আগাম আমন কাটার পর যে সকল কৃষক আলুর বীজ বপন করেছেন, তাঁরাও দুঃশ্চিনতায় দিন কাটাচ্ছেন। হরিপুর,বালিয়াডাংগী, পীরগন্জ সহ জেলার উপজেলা গুলোর চিত্র একই রকম। হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের ধৌলা গ্রামের কৃষক দবিরুল ইসলাম জানান আমি প্রায় দুই বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি কিন্তু আচ্ছন্ন বিরুপ আবহাওয়া বৃষ্টির কারণে, ধানের গাছ গুলো মাটিতে নুয়ে পড়েছে, এখন ধান গামো হয়েছে আর কয়েকদিন গেলে ধান পরিপক্ব্ত হতো একই তো কারেন্ট পোকার আক্রমণ, এবার মনে হচ্ছে লাভের চেয়ে লোকসানের মুখ গুনতে হবে বেশি। কৃষক সোহেল রানা জানান, আমি তিন বিঘা আগাম আমন ধান কেটেছি গত পাঁচদিন হলো কিন্তু বৃষ্টির পানিতে কাটা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে এখন কি করব ভেবে পাচ্ছি না । একই গ্রামের বাসিন্দা আঃ রশিদ জানান আমি আগাম জাতের আমন ধান কাটার পর আলুর বীজ রোপণ করেছি কিন্তু বৃষ্টির পানির কারণে জমিতে পানি জমে আছে আলুর বীজ গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এভাবে চলতে থাকলে আমাদের লাভ তো দুরের কথা লোকসানের প্রহর গুনতে হবে
আরও স্থানীয় কৃষকগণ অতি বৃষ্টির জন্য আগাম লাগানো পাকা ধান কাটতে পারছেন না, কেউবা আলুর বীজ লাগাতে পারছেন না।
কৃষি অফিস জানিয়েছে, যেসব জমিতে আমন ধানে থোর দেখা দিয়েছে এবং ধানের শীষ বের হওয়ার উপক্রম হয়েছে সেসব জমিতে রসের ঘাটতি পূরণ হওয়ায় সহজে ধান বের হতে পারবে এবং এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শতাধিক হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে কৃষকদের সহযোগিতার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সম্পাদক : শাওন আমিন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোঃ গিয়াস উদ্দীন, নির্বাহী সম্পাদক : ঝড় আমিন প্রকাশক : মোঃ সোহরাব আলী
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: হালিশহর, চট্রগ্রাম। ঢাকা অফিস : বাসা নং ৫১/৩ ধানমন্ডি ৩/এ ঢাকা-১২০৯
মোবাইল : 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟒𝟏𝟓𝟖𝟓𝟑 𝟎𝟏𝟓𝟖𝟎𝟖𝟐𝟎𝟔𝟔𝟑 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟎𝟔𝟏𝟏𝟔𝟑 𝐄-𝐦𝐚𝐢𝐥 : 𝐬𝐡𝐚𝐰𝐨𝐧𝐚𝐦𝐞𝐞𝐧𝟓@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦