মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:পঞ্চগড়ে এক মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির ফান্ডের টাকা তছরুপ, টিউশন ফি গোপন এবং বিধিবহির্ভূত ভাবে উত্তোলনসহ মাদ্রাসার গাছ অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সুপারের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন মাদ্রাসার সব শিক্ষক ও কর্মচারী।
মাওলানা আবুল হাশেম নামের অভিযুক্ত ওই সুপার পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের হাড়িভাসা দারুচ্ছুন্নাহ্ দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত।
সম্প্রতি তার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন- মাদ্রাসার সহ-সুপার আব্দুর রহিম, সিনিয়র শিক্ষক সাইয়েদ নূর-ই-আলম, আব্দুল মান্নান, ইবতেদায়ী প্রধান আলীম উদ্দীন, সহশিক্ষক সহিদুল ইসলাম, বিষ্ণুপদ মহন্ত, খালেদা বেগম, জেসমিন আরা, উম্মে হাবিবা প্রমুখ।
অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দুই ধাপে টিউশন ফি বিতরণ হলেও সুপার কেবল প্রথম কিস্তির টাকা স্বীকার করে বণ্টন করেন। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসেনি বলে দাবি করে তিনি ব্যাংক বিবরণী দেখাতে অস্বীকৃতি জানান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সুপারের যোগসাজশে ম্যানেজিং কমিটির বাইরের এক ব্যক্তি অবৈধভাবে ব্যাংক একাউন্ট হোল্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠান বন্ধের দিনে মাদ্রাসা মাঠের একটি ইউক্যালিপটাস গাছ কর্তন করে বিক্রি করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি, ফরম ফিলাপসহ বিভিন্ন খাতের টাকারও কোনো সঠিক হিসাব দেননি তিনি।
মাদ্রাসার সহ-সুপার আব্দুর রহিম বলেন, টিউশন ফি’র টাকা আত্মসাতের ব্যাপারটি জানতে পারলে সুপারের কাছে আমরা ব্যাংক বিবরণী চাই। তিনি প্রথমে বিবরণী দিতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে একটি জাল বিবরণী দেখান। আমাদের সন্দেহ হলে আমরা ব্যাংকে গিয়ে আসল বিবরণী সংগ্রহ করি। এতে দেখা যায়, সুপারের দেয়া বিবরণীর সঙ্গে আসল বিবরণীর কোন মিল নেই। বিবরণী মতে, গত ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি।
মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ও হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, সুপারের বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ পুরনো। তিনি সহকর্মীদের সঙ্গেও প্রতারণার আশ্রয় নেন। গত কয়েকদিন আগে মাদ্রাসায় বোর্ড থেকে পরিদর্শনে আসবে জানিয়ে নোটিশ করে আমাদের উপস্থিত থাকতে বলেন। কিন্তু সন্ধা পর্যন্ত আমরা অপেক্ষায় থাকলেও কেউ পরিদর্শনে আসেনি এবং সুপারও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। সুপার বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ বাণিজ্য করেও হাতিয়েছেন বহু টাকা। বারবার সংশোধন হতে বলা হলেও তিনি এসব করেই যাচ্ছেন। তার এসব কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা দ্রুত তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবুল হাশেমের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষযটি তদন্তের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সম্পাদক : শাওন আমিন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোঃ গিয়াস উদ্দীন, নির্বাহী সম্পাদক : ঝড় আমিন প্রকাশক : মোঃ সোহরাব আলী
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: হালিশহর, চট্রগ্রাম। ঢাকা অফিস : বাসা নং ৫১/৩ ধানমন্ডি ৩/এ ঢাকা-১২০৯
মোবাইল : 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟒𝟏𝟓𝟖𝟓𝟑 𝟎𝟏𝟓𝟖𝟎𝟖𝟐𝟎𝟔𝟔𝟑 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟎𝟔𝟏𝟏𝟔𝟑 𝐄-𝐦𝐚𝐢𝐥 : 𝐬𝐡𝐚𝐰𝐨𝐧𝐚𝐦𝐞𝐞𝐧𝟓@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦