।। শহীদুল ইসলাম শহীদ,পঞ্চগড়।।
বিদ্যমান সার নীতিমালা
বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফ এ), পঞ্চগড় জেলা ইউনিট।
সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় চেম্বার ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পঞ্চগড় চেম্বারের সভাপতি মো. শরীফ হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমরা কিছু দিন থেকে লক্ষ্য করছি যে, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ও গত ২৫/০৯/২০২৫ তারিখে কৃষি উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনে সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা ২০২৫ প্রণয়ন হাতে যাচ্ছে। এটাকে আমরা যুগ উপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছি। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের লক্ষ করছি, ইউনিয়ন ভিত্তিক ৩ জন করে সার ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে ওয়ার্ড পর্যায়ে ডিলার নিয়োগের যে খসড়া প্রস্তুত করেছেন তা বিতরণ ব্যবস্থায় কখনও সুফল বয়ে আনবেনা। করণ হিসেবে অবকাঠামোগত ঘাটতি পরিবহন ব্যবস্থার ঘাটতি ও আর্থিক ব্যাপারে নিরাপত্তাহীনতা এর কথা বলা যেতে পারে। দীর্ঘ ত্রিশ বছর যাবৎ বিসিআইসি সার ডিলারগণ সুনামের সহিত কৃষক পর্যায়ে সার ব্যবসা পরিচালনা করে আসতেছে। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে ও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দানের মাধামে কৃষকের ফসল উৎপাদনে বলিষ্ট ভূমিকা রাখছে। এ কথা অনিবার্য যে এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তারের সুনিয়ন্ত্রিত তদারকি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। হঠাৎ করে কি এমন হলো যে ওয়ার্ড পর্যায়ে ডিলার নিয়োগ দিতে হবে। আমরা সরকারের এ জাতীয় সিদ্ধান্তের পুর্নিবিবেচনার আবেদন করছি। খুচরা সার বিক্রেতার থাকবে না বলে বলা হয়েছে। কিন্তু এটা কি করে সম্ভব হবে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। কেন না এদের সংখ্যা অনেক এবং তাদের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা বিভিন্ন রকম সুবিধা পেয়ে থাকে। এরা বিলুপ্ত হলে একটা শূন্যতা হতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য একটা গ্রহণযোগ্য সমন্বয় করা হোক। আমরা মনে করি কৃষক পর্যায়ের সারের প্রকৃত চাহিদা নিরুপন করে বরাদ্দ প্রদান করলে সংকটের কোন সম্ভাবনা থাকবেনা। ইউনিয়ন পর্যায়ে সুষম বরাদ্দ প্রদান করতে হবে। উদারণ স্বরূপ বলা যেতে পারে ইউরিয়া সার এর সুষম বরাদ্দের কারনে ইউরিয়া সার এর কোন সংকট নাই।
একজন ডিলার নিজের সব মোকামে গিয়ে সার উত্তোলণ করে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে এসে কৃষকের মধ্যে সার সঠিক সময়ে ও সুষ্ঠভাবে বিতরণ সম্ভব না। অবশ্যই মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে সার উত্তোলন ও বিতরন ব্যবস্থা থাকতে হবে। ডিলারদের পরিবহণ খরচ ও কমিশন বৃদ্ধি করতে হবে। জ্বালানি তেলের দাম কয়েক দফা বৃদ্ধি পাওয়ার পরও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি হয়েছে। তাছাড়া ব্যাংকের সুদ, গুদাম ভাড়া, কর্মচারীর ব্যয়, লোড আনলোড সহ আনুষঙ্গিক যাবতীয় খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার পরও বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি হয়নি। আমরা কমিশন বৃদ্ধির জন্য আবেদন জানাচ্ছি। সর্বপরি যে কোন সারের নীতিমালা করার আগে মাঠ পর্যায় অব্যশ প্রতিটি জেলা/উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের ও বিএফএ এর প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়ার বব্যস্থা গ্রহন করতে হবে। পরিশেষে আমরা বলতে চাই, আমরা বিসিআইসি ও বিএডিসি কোন বিভাজনে না যেয়ে সরকারের নীতিমালার আলোকে সুষ্ঠু সার সরবরাহ এর মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে সার বিতরনের প্রক্রিয়া কার্যকর হউক। এক্ষেত্রে আমরা মনে করি সার ডিলার নীতিমালা ২০০৯ এর আলোকে সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২৫ এ প্রয়োজনীয় সংশোধন করা যেতে পারে।
এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কৃষকদের আইডি কার্ড ও প্রয়োজনীয় সার প্রাপ্তির পরিমাণ উল্লেখ করে দিলে সারা সরবরাহ করা সহজ হয় বলে উল্লেখ করেন। কৃষি বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী সার বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান।
দাবি মানা না হলে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে কথা বলতে রাজি নয়। তবে কৃষি বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয় না।
পঞ্চগড়ে জেলায় বিএফ আইসির সার ডিলার রয়েছে ৪৭ জন। সংবাদ সম্মেলনে খলিলুর রহমান, নূর নবী মজুমদার, খাজিম উদ্দিনসহ জেলার সার ডিলার ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : শাওন আমিন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোঃ গিয়াস উদ্দীন, নির্বাহী সম্পাদক : ঝড় আমিন প্রকাশক : মোঃ সোহরাব আলী
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: হালিশহর, চট্রগ্রাম। ঢাকা অফিস : বাসা নং ৫১/৩ ধানমন্ডি ৩/এ ঢাকা-১২০৯
মোবাইল : 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟒𝟏𝟓𝟖𝟓𝟑 𝟎𝟏𝟓𝟖𝟎𝟖𝟐𝟎𝟔𝟔𝟑 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟎𝟔𝟏𝟏𝟔𝟑 𝐄-𝐦𝐚𝐢𝐥 : 𝐬𝐡𝐚𝐰𝐨𝐧𝐚𝐦𝐞𝐞𝐧𝟓@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦