বাগমারা প্রতিনিধি ।। বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি বিএনপি।দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থী নির্বাচনে কয়েকটি ধাপ নির্ধারণ করেছেন এবার।দলের প্রয়োজনে আন্দোলন-সংগ্রামে ত্যাগ,জেল-জুলুম, মামলা-হামলা, সততা, এলাকায় জনপ্রিয়তা এবং ক্লিন ইমেজ।এসব বিবেচনায় এরই মধ্যে সম্ভাব্য তালিকায় রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে অধ্যাপক কামাল হোসেনের নাম।দেশের কয়েকটি জনপ্রিয় গণমাধ্যমে দলীয় সূত্র থেকে প্রকাশিত তালিকায় তার নাম দেখা গেছে।বাগমারায় অধ্যাপক কামাল হোসেনকে নিয়ে এখন সর্বত্র আলোচনা। দলের নেতাকর্মীরা তার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাসী এবং মাঠে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছেন।তার গণসংযোগে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে,যেখানে দলমত নির্বিশেষে মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উপজেলা সদর সবখানে গণসংযোগ ও পথসভা সহ রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করে চলেছেন তিনি।কিশোর বয়সে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন কামাল।১৯৯৪ সালে ভবানীগঞ্জ কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়ান।পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ২০১০ সালে বাগমারা উপজেলা যুবদলের সভাপতি হন। তার সাংগঠনিক দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৬ সালে রাজশাহী জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক এবং ২০১৭ সালে জেলা বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে তাকে বাগমারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব করা হয়।শিক্ষকতায়ও সফল কামাল হোসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০৩ সালে ভবানীগঞ্জ কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০২২ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন এবং সহকারী অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।তবে রাজনীতি এবং জনসেবার প্রতি অঙ্গীকার থেকে ২০২২ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোদমে বিএনপির রাজনীতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে হামলা,মামলা এবং কারানির্যাতনের শিকার হলেও তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শ থেকে পিছু হটেননি।জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে অনেক নেতা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ান, কিন্তু কামাল হোসেন সেসব থেকে দূরে থেকে দলের ৩১ দফা বার্তা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে মাঠে নামেন।নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় অধ্যাপক কামাল হোসেনের প্রচারণা আরও গতিশীল হয়েছে। বাগমারার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় নিয়মিত পথসভা, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।বাগমারা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ আব্দুস সোবহান বলেন, "কামাল সব সময় সৎ এবং দলের প্রতি অনুগত। তার মধ্যে তারেক রহমানের মানদণ্ডের সবকিছু বিদ্যমান। তিনি অন্য প্রার্থীদের চেয়ে অনেক এগিয়ে।উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি সদস্য অধ্যাপক দুলাল হোসেন বলেন, "কামাল হোসেন ত্যাগী এবং সাংগঠনিকভাবে দক্ষ।মনোনয়ন পেলে তিনি বাগমারার উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন।" ।অধ্যাপক কামাল হোসেনের দাদার পিতা আলহাজ কছিম উদ্দিন ছিলেন শিক্ষানুরাগী এবং তার দানকৃত জমিতে উপজেলা কমপ্লেক্স, স্কুল-কলেজ গড়ে উঠেছে। কামাল হোসেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী;তার প্রতিষ্ঠানে অনেক বেকার লোকজনের কর্মসংস্থান হয়েছে।তিনি মসজিদ-মাদ্রাসা,অনাথ আশ্রমে দান করেন এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়।অধ্যাপক কামাল হোসেন একজন মানবিক মানুষ। তৃণমূলে তার জনপ্রিয় অনেক। তার উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে এবং মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকেন। বিএনপির নির্বাচনী বোর্ড কামাল হোসেনের মতো পরিচ্ছন্ন ইমেজের প্রার্থীকে মূল্যায়ন করবে বলে আশা স্থানীয় জনতার।বৃহস্পতিবার বিকেলে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ এবং পথসভা করেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন।এসময় উপজেলা, ইউনিয়ন বিএনপি সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : শাওন আমিন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোঃ গিয়াস উদ্দীন, নির্বাহী সম্পাদক : ঝড় আমিন প্রকাশক : মোঃ সোহরাব আলী
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: হালিশহর, চট্রগ্রাম। ঢাকা অফিস : বাসা নং ৫১/৩ ধানমন্ডি ৩/এ ঢাকা-১২০৯
মোবাইল : 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟒𝟏𝟓𝟖𝟓𝟑 𝟎𝟏𝟓𝟖𝟎𝟖𝟐𝟎𝟔𝟔𝟑 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟎𝟔𝟏𝟏𝟔𝟑 𝐄-𝐦𝐚𝐢𝐥 : 𝐬𝐡𝐚𝐰𝐨𝐧𝐚𝐦𝐞𝐞𝐧𝟓@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦