এম. এ. সামাদ।। এইতো সেদিন পথচলা শুরু মানুষের পেট ভরে একবেলা খাবারের ঠিকানা৷
সারাদিন ক্লান্ত শরীরে যারা অন্যের বাড়ির দরজায় কড়া নেড়ে নেড়ে জীবন চালায়৷ মেহমান খানা সে সকল মানুষের হৃদয়ের কড়া নেড়েছে৷ যে যেদিকে যাক সকলে প্রতি শুক্রবার নামাজ শেষে মেহমানখানায় চলে আসেন৷
সকাল থেকে চলে নানা আয়োজন। কেউ পেঁয়াজ কাট,কেউ মাংস, আবার কেউ মেহমানের জন্য জায়গা ঠিক করতে ব্যস্ত সময় পার করে। অবাক করা বিষয় হল যারা রান্না ও খাওয়ানোর কাজে শ্রম দেন তারা কেউ পারিশ্রমিক নেননা৷ বেশ ভালো লাগার মত বিষয়।
মানবিকতা কথাটা বেশ চমকপ্রদ। এটি কখন কার মাধ্যমে ফুটে উঠব তা বলা মুশকিল। সংবাদকর্মী হারুন অর রশিদ ভাইয়ের এমন উদ্যোগটি সাড়া ফেলেছে বেশ৷ যার একটি উদ্যোগে বদলে গেছে মানুষের ধ্যান ধারনা। এমন মানবিকতায় যুক্ত হয়েছে আরো অনেকে।
খাওয়ার পর নিরন্ন মানুষের মুখে এক পসলা হাসি যেন সব ক্লান্তি দূর করে দেয়। মানবিক কাজ গুলো বাড়াতে আরো সহায়তা করে৷
দেখতে দেখতে দুই বছর হল। বয়স ১০৪ তম সপ্তাহ৷
দিনটি আমার কাছে ঈদের দিনের মতন৷ দিনটিকে ঘিরে আয়োজন ও আপ্যায়ন ছিল জাঁকজমক।
যতদিন পর্যন্ত দুজন নিরন্ন মানুষও থাকবে ততদিন পর্যন্ত মেহমান খানা চলুক। আজকের দিকে এমনি প্রত্যাশা রইলো।