পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় চা বোর্ডের আইন লঙ্ঘন ও চাষীদের চা পাতার মূল্যে যথাযথভাবে পরিশোধ না করার অপরাধে তিনটি বটলিফ কারখানাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার দিনব্যাপী পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন ।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত, সদর উপজেলার মৈত্রী টি ইন্ডাট্রিজ, উত্তরা গ্রীণ টি লিমিটেড ও নর্থবেঙ্গল সেন্ট্রাল টি ইন্ডাট্রিজ লিমিটেডকে ২০১৬ সালের বাংলাদেশ চা বোর্ড আইন অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। পরে প্রতিষ্ঠানগুলো নগদ জরিমানার অর্থ প্রদান করেন। পরে সেই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত চা কারখানা পরিদর্শনের অংশ হিসেবে জেলার বেশকিছু চা কারখানায় যান চা বোর্ডের কর্মকর্তারা। পরে সদর উপজেলার মৈত্রী টি ইন্ডাট্রিজ, উত্তরা চা কারখানা লিমিটেড ও নর্থবেঙ্গল সেন্ট্রাল টি ইন্ডাট্রিজ লিমিটেডকে চা বোর্ডের আইন লঙ্ঘন ও চাষীদের চা পাতার মূল্যে যথাযথভাবে পরিশোধ না করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সায়েদুল হক সহ সদর থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, নিয়মিত চা কারখানা পরিদর্শনের অংশ হিসেবে জেলার বেশ কয়েকটি চা কারখানায় করা হয়েছে। জেলার বেশকিছু বটলিফ কারখানার বিরুদ্ধে চা আইন লঙ্ঘন ও চাষীদের চা পাতার যথাযথ মূল্যে পরিশোধ না করার অভিযোগ রয়েছে। পরে অভিযোগের সত্যতা মেলায় জরিমানা করা হয়। চা বোর্ড অনিয়ম এবং আইনের লঙ্ঘন দেখলে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে। জনস্বার্থে আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে চা পাতা কেনার সঠিক কাগজপত্র না থাকায় সদর উপজেলার আল আমিন টি এর একটি গুদাম থেকে ১৯৭ বস্তা চা জব্দ করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটিকে কোন জরিমানা করা হয়নি।