নিজস্ব প্রতিবেদক: ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল থানাধীন ফরিঙ্গা দিঘী মৌজায় সিএস রেকর্ডীয় রাস্তায় দখল করে ঘড়-বাড়ি নির্মাণ করেছে কতিপয় ব্যক্তি। সরকারি রাস্তা জোড় পূর্বক দখল করে মানুষ চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে কতিপয় দূর্বৃত্ত ব্যক্তি।
এতে করে সাধারণ মানুষ কিছু মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রয়োজনী কাজ করতে বাইরে যেতে পারছে না, এতে করে জন-জীবন বিপন্ন হয়ে পরেছে বলে অভিযোগ করেন ফরিঙ্গা দিঘীর বাসিন্দা রমজান আলী।
রমজান আলী বলে সরকারী রাস্তাটি প্রায় একশত বছর ধরে মানুষ চলাচল করে।কিন্তু অল্প কিছুদিন আগে একই গ্রামের কিছু ব্যক্তি উক্ত সরকারী রাস্তা অবৈধ ভাবে দখল করে করে ঘড় বাড়ি নির্মাণ করেছে। ঘর-বাড়ি নির্মাণের সময় আমরা বাধা প্রদাণ করলে উক্ত ব্যক্তিগণ বলে যে, আমরা আমাদের নিজেস্ব জমিতে রাস্তা বানিয়ে দিবো। কিন্তু বর্তমানে উক্ত ব্যক্তি গণের সাথে আমাদের পারিবারিক দ্বন্দে কারণে উভয় পক্ষ কোর্টে মামলা আনায়ন করি। মামলা গুলো কোর্টে চলমান রয়েছে।
এমতাবস্থায় উক্ত ব্যক্তিগণ আমাদের কে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি প্রদান করে এবং আমার ছেলে, আমার ভাতিজা ও আমার ভাগিনাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও প্রধান করে, যা অত্র এলাকার সবাই জানে।
রমজান আলী আরো অভিযোগ করে বলেন-আমাদের বাড়ি হতে বাইরে বের হওয়ার একটি মাত্র রাস্তা হওয়ায় আমরা দৈন্দিন কাজ করতে ঐ রাস্তা দিয়ে বের হতে হয়। বাড়ি হতে বের হয়ে উক্ত জিআর ১১৫/২৩ মামলার আসামী জবাইদুর রহমানের স্ত্রী- লুৎফা বেগম ও অন্যান্য আসামীদের স্ত্রীরা সহ সকল আসামীগণ প্রায় আমাদের গতিপথ রোধ করে এবং মারপিট করে৷ গত কয়েকদিন আগে আমার ভাগীনা মোঃ রুহুল আমীনের মোটর সাইকেল থামিয়ে লুৎফা বেগম তাকে মারপিট করে।পরে রুহুল আমীন রাণীশংকৈল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। গত দুই দিন আগে জি আর মামলা বাদী- আবুল কালাম আজাদ ও একই মামলা সাক্ষী মোঃ কামাল হোসেনের গাড়ি থামিয়ে লাঞ্চিত করে। তারই প্রেক্ষিতে আমি গত ৯/৮/২৩ ইং তারিখে জেলা প্রশাসক, ঠাকুরগাঁও বরাবরে সরকারী রাস্তা দখল মুক্ত করার জন্য একটি লিখিত আবেদন করি।
রমজান আলী দুঃখের সাথে আরো অভিযোগ করে বলেন যে,আমাদের বিরোধীপক্ষ ধনী, প্রভাবশালী ও দূর্বত্তকারী হওয়ায় গায়ের জোড়ে আমাদের বাড়ি হতে বৃষ্টির পানী বের হতে দেয় না।তারা আমাদের কে পানি বন্ধী করে রাখে।এতে করে আমরা বাড়ি হতে বের হতে পারিনা এবং আমাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না।
রমজান আলী আরো বলেন- আমরা তাদের অত্যাচারে মানবেতর জীবন যাপন করছি এবং পরিবার পরিজন নিয়ে আশংকায় দিনাতিপাত করছি।
তিনি আরো বলে ১৯৪৭ সালের পূর্বে থেকে ফরিঙ্গাদিঘী মৌজার,জেএল নং ৩৪, দাগ নং-৩৮৩,৩৮৩,৩৮৬,৩৮৭,৩৮৯ ও ২১৭৫ দাগ সি এস রেকর্ড ভূক্ত হয়ে মানুষ চলাচল করে,কিন্তু বর্তমানে, আব্বাস আলী,পিতা,মৃত তসির উদ্দীন,আঃ জব্বার, পিতা- মৃত দরবার হোসেন, গোলাম রব্বানী,পিতা হবিবর রহমান সহ আরো কয়েকজন জন গ্রামবাসি উক্ত রেকর্ডীয় বাড়ি- ঘড় নির্মাণ করে জবর দখল করে আমাদের চলাচলে বাধা প্রদান করত আমাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে।আমরা এ সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক সরকারী রাস্তা উদ্ধার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা চাচ্ছি।