ঝড় প্রতিবেদনঃ ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহত হওয়ার আগে প্রিগোশিন ‘আফ্রিকাকে আরও মুক্ত’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মালিতে একটি ভিডিও চিত্রায়িত করেছিলেন। এবার সেই মালি ছেড়েছে ভাগনার।
প্রিগোশিনের নিহত হওয়ার বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। এই কারণে আফ্রিকার সরকার, যারা ভাগনারের ওপর নির্ভরশীল, তাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
দিমিত্রি উৎকিন নিহত হওয়ার খবর আসার পর এখন ভাগনারের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আফ্রিকা প্রোগ্রামের জ্যেষ্ঠ সহযোগী ক্যামেরন হাডসন বলেছেন, মালি ও সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকে যেহেতু আগে থেকেই চুক্তি করা ছিল, তাই এই অঞ্চলে ভাগনারের সিদ্ধান্তের খুব বেশি পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ নেই। রাশিয়ানরা বলেছিলেন, তাঁরা ওই চুক্তিগুলোর প্রতি সম্মান জানাবেন। প্রশ্ন হলো, বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের মতো দেশগুলোতে ভাগনার তাদের উপস্থিতি প্রসারিত করার চেষ্টা করছিল—এখন সেসব দেশে এই প্রচেষ্টার কী হবে? রাশিয়ার সরকারের অধীন কি সেই সম্প্রসারণ অব্যাহত থাকবে?
গত জুন মাসে রাশিয়ায় ভাগনারের সংক্ষিপ্ত বিদ্রোহ ছিল ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিচালনা নিয়ে প্রিগোশিন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভেদের চূড়ান্ত পরিণতি। তবে আফ্রিকার সরকারগুলোর এই ভাড়াটে গোষ্ঠী ও রাশিয়া সরকারের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্যমূলক আচরণ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
মালির অভ্যুত্থানকারীরা সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ‘রাশিয়ান প্রশিক্ষক’ হিসেবে উল্লেখ করে যাচ্ছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের সিএআরের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক চার্লস বোয়েসেল আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘এসব নিয়ে সিএআর কর্তৃপক্ষ সব সময় অস্বস্তিতে ছিল।’
চার্লস বোয়েসেল আরও বলেন, ‘তাঁরা জানতেন না যে ভাগনারের সহায়তার জন্য কার প্রশংসা করতে হবে। কখনো তারা রাশিয়ান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দিচ্ছে, আবার কখনো প্রিগোশিনকে ধন্যবাদ দিচ্ছে।
তবে তারা যা চায় তা হলো, রাশিয়ার সহায়তা অব্যাহত থাকুক এবং তারা তাদের মতামত প্রকাশে সতর্ক থাকবে [প্রিগোশিনের মৃত্যুতে]।’