1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বোয়ালখালী সদরে গোমদন্ডী পাইলটস্কুলের হলরুমে জিয়া স্মৃতি পরিষদ’র উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বালিয়াডাঙ্গীতে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জোর পূর্বক গ্ৰাম্য সালিশ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথ দেখানো এক আলোকবর্তিকা — সাইমুন মজুমদার দেশে বাড়ছে রাজনৈতিক – আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল চীনের হাসপাতাল।। পঞ্চগড়ে করার দাবিতে উত্তাল পঞ্চগড়।। মুসল্লিদের অবস্থান মানববন্ধন আধুনিকতার ছোয়ায় হারিয়ে গেছে শৈশবের খেলাধূলা চার মাসের সন্তানকে বিক্রি করে দেহকে সাজসজ্জা ও মোবাইল কিনলেন মা! টাকা  /  নীলিমা আক্তার নীলা বৈষম্যহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে চীনা হাসপাতাল পঞ্চগড়ে করতে হবে – রাশেদ প্রধান পঞ্চগড়ে চীনের অর্থায়নে হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন

‘ভাদ্র মাসে গাছে গাছে পাকে তাল,তোমার আমার ভালবাসা থাকবে চিরকাল।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩
  • ৬০৭ বার পড়া হয়েছে

আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুগাঁওয়ে ভাদ্র মাসে এবং তাল নিয়ে এমন অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে আমাদের। গ্রামের মুরব্বিরা বলে ভাদ্র মাসের গরমে তাল পাকে। তাই সহজেই বোঝা যায় ভাদ্র মাসের সঙ্গে তালের একটা সম্পর্ক রয়েছে।

শুধু ভাদ্র মাস নয় ভাদ্র মাসের গরমের সঙ্গে এর একটা সম্পর্ক বিদ্যমান। এই ভাদ্র মাস থেকেই বাজারে উঠতে থাকে পাকা তাল। যা দিয়ে নানা রকম সুস্বাদু পিঠা বানানো হয়। কেউবা আবার তালের রস দিয়ে পায়েস তৈরি করে। পাকা তালের মিষ্টি ঘ্রাণে মন ভরে যায়। গ্রামে-শহরে ঘরে ঘরে তালের পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়।

ভাদ্র মাসে তালের পিঠা না খেলে যেন একটা অপূর্ণতাই থেকেই যায়। ভাদ্রের গরমেই মূলত তাল পাকে। পিঠাপ্রেমী মানুষরা বাজার থেকে তাল কিনে পিঠা তৈরির জন্য। এ সময় প্রতিটি ছোট-বড় বাজারেই পাকা তাল পাওয়া যায়। তবে পাকা তালের রস করা অপেক্ষাকৃত কঠিন।

রস বের করে তা কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে হয়। তাহলে তালের বিষপানি পড়ে যায়, মুরব্বিদের ভাষ্যমতে। প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা এই তালের রস ঝুলিয়ে রেখে তারপর রস দিয়ে পিঠা বা পায়েস তৈরি করা হয়।

এ সময় মেয়েরা বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে, বা বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় মেয়ের মা-বাবা। ভাদ্র মাসে জামাইকে তালের পিঠা খাওয়ানো একটা অন্যরকম অনুভূতির বিষয় ছিল, যা গ্রামীণ সংস্কৃতির একটি অংশ। তবে এই সংস্কৃতি বর্তমানে তেমনটা নেই বললেই চলে।

বাজারে পাকা তালও কম পাওয়া যায়, কারণ গ্রীষ্মের দাবদাহে তালের শাঁস বিক্রি করে ফেলে। তাই অনেক গাছ হয়ে পড়ে তালশূন্য। যা হোক এই ভাদ্রের তালের পিঠার আমেজ চলতে থাকুক বাংলার ঘরে ঘরে। আমাদের নতুন প্রজন্ম এ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হোক। বেঁচে থাকুক আমাদের সংস্কৃতি। ঘরে ঘরে তাল দিয়ে পিঠাণ্ডপায়েস তৈরির ধুম পড়ুক আবারও।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং