নিজস্ব প্রতিবেদক।। ঠাকুরগাঁও ১,২,৩ আসনের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। জাতীয় সংসদীয় আসন ৩,৪,৫। তিনি একাই তিনটি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজের বার্তা জনগণের মাঝে আলোচনা করে দোয়া প্রার্থী হয়ে আলোচনায় এসেছেন এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে।

তিন আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বাসা তার। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী, শ্রমিক নেতা, সাংবাদিক এবং সমাজসেবক।

তিনটি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় মুজিবীয় আদর্শে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে। তিনি স্কুল জীবন থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত হলেও তিনি ২০০১ সালে কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হন। ২০০৪ সালে তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। দীর্ঘ ১৮ বছর পর তিনি ২০২২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্য জীবি লীগের উপজেলা কমিটিতে আহ্বায়কের দ্বায়িত্ব পালন করেন। প্রায় ৭/৮ মাস আহ্বায়ক পদে থাকার পর তিনি ২০২২সালে পূনরায় জাতীয় শ্রমিক লীগ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব পায়। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস জীবি লীগ ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পান, একই সাথে তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী বঙ্গবন্ধু লীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক দ্বায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ ৭ বছর থেকে তিনি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত থেকে ২০২৩ সালে তিনি বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০২১ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রাজ-৮৮ এর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ষ্ট্যান্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে সততার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

আমাদের প্রতিনিধি তার রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন - আমি স্কুল জীবন থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শে রাজনীতি করি।বুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আদর্শ লালন করে মানব সেবাই নিজেকে পরিচালনা করি। আমি আমাদের সাত সাতবারের সাংসদ আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম এম পি মহোদয়ের সততাকে ভালোবেসে তারই সুযোগ্য পুত্র অধ্যক্ষ মোঃ মাজহারুল ইসলাম সুজন মামার অনুপ্রেরনায় রাজনীতির ও মানব সেবাই জড়িয়ে আছি। দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়তে নৌকা মার্কার জন্য নিজেকে সব সময় মানব সেবাই পরিচালনা করি। ঠাকুরগাঁও-২ আসনের জনগনের সুখে দুঃখে পাসে থাকি। সার্বক্ষণিক শ্রমিকদের পাসে থাকি। জনতায় আমার শক্তি। আর আমি জনতার সেবক হয়ে বাকী জীবনটা চলতে চাই।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে উন্নয়নের রুপকার আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম এম পি সাহেব ও মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ মাজহারুল ইসলাম সুজন নৌকার মাঝি হিসেবে একমাত্র যোগ্য প্রার্থী বলে আমি মনে করি।

কিন্তু কিছু দিন যাবত ঠাকুরগাঁও-২ আসন দেখা মিলছে ডজন খানেক মনোনয়ন প্রত্যাশী, তাদের মধ্যে কেউ রাজাকারের বংশধর, বিদেশ ফেরত প্রবাসী,বি এন পি জামায়াত জোট থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করা হাইব্রিড নেতা ও বর্তমান সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করা শাসকরা, নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের উপর নিপীড়ন নির্যাতন করা কিছু নেতা। ক্ষমতার লোভে ও লালসায় বর্তমান সাংসদের বিপক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন।

বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলামের বিপক্ষে যদি বসন্তের কোকিলেরা মনোনয়ন প্রত্যাশী হতে পারে, তাহলে আমি একজন মুজিবীয় সৈনিক হয়ে
কেন মনোনয়ন প্রত্যাশী হতে পারবো না? আমারো অধিকার আছে। তাই আমি ঠাকুরগাঁও-১,২,৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছি। মানবতার মা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র কাছে আমি তিনটি আসনের জন্য নৌকা মার্কার মনোনয়ন দিলে,আমি ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি আসনেই প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে সক্ষম হবো বলে আশা করি।