1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিল অনুষ্ঠিত। সভাপতি মান্নান সাধারণ সম্পাদক আসাদ চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় স্থাপনের দাবি ছাত্রজনতার দেবীগঞ্জে চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করলেন ডিসি দীর্ঘ ১৯ বছর পর বোদা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন বোয়ালখালী সদরে গোমদন্ডী পাইলটস্কুলের হলরুমে জিয়া স্মৃতি পরিষদ’র উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বালিয়াডাঙ্গীতে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জোর পূর্বক গ্ৰাম্য সালিশ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথ দেখানো এক আলোকবর্তিকা — সাইমুন মজুমদার দেশে বাড়ছে রাজনৈতিক – আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল চীনের হাসপাতাল।। পঞ্চগড়ে করার দাবিতে উত্তাল পঞ্চগড়।। মুসল্লিদের অবস্থান মানববন্ধন আধুনিকতার ছোয়ায় হারিয়ে গেছে শৈশবের খেলাধূলা

চট্টগ্রামে ‘এক্সপেন্ডেট ডেঙ্গু সিনড্রোমে’ নারীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১৫৯

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় ‘এক্সপেন্ডেট ডেঙ্গু সিনড্রোম’। এনিয়ে চলতি বছরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৯ জন।
মৃত নারীর নাম সখিনা বেগম (৫৬)। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা নুরুল হকের স্ত্রী।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কর্যালয়ের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সখিনার ছোট ছেলে মো. সাকিল জানান, তার মায়ের গায়ে জ্বর ছিল, সঙ্গে ছিল পেঠে ব্যথা। স্থানীয় ডাক্তার দেখালে তাকে প্রথমে পেটের ব্যথা কমানোর স্যালাইন দেওয়া হয়। এতে তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। পরে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করেন ডাক্তার। পরে তাকে চট্টগ্রামে মেডিকেলে নিয়ে আসলে ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডেঙ্গু ডেডিকেটেড ফ্লোরে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ডাক্তার সখিনা বেগমকে ডেঙ্গু টেস্ট দিলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর মধ্যেই তার ডেঙ্গুর এক্সপেন্ডেট সিনড্রোম দেখা দেয়, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কিন্তু সেসময় আইসিইউতে কোনো সিট ছিল না। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে মারা যান সখিনা বেগম।
ডেঙ্গুর এক্সপেন্ডেট সিনড্রোম দেখা দিলে শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয় রোগীর। তখন শরীরের কিডনি, লিভার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬ জন, মহিলা ২৩ জন ও শিশু ২২ জন। এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ২৫০ জন, মহিলা ২ হাজার ৬ জন ও শিশু ১ হাজার ৮২৯ জন।
এদিকে চট্টগ্রামে প্রতিদিন শতাধিক রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন থেকে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ২৯৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে নগরীতেই আছেন ৮৮৩ জন, বাকি ৪১৫ জন উপজেলার বাসিন্দা। সেপ্টেম্বরে মারা গেছেন ৮ জন।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ছিল ১৪৫ জন। তবে ওইদিন কেউ মারা যাননি। ৩ সেপ্টেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২৯ জন, মারা গেছেন ১ জন। ৪ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩১ জন, মারা গেছেন ১ জন। ৬ সেপ্টেম্বর আক্রান্ত সংখ্যা ১০০ জন, তবে ওইদিন কেউ মারা যাননি। ৭ সেপ্টেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২০ জন, মারা গেছেন ২ জন। ৮ সেপ্টেম্বর আক্রান্ত ৫৪ জন, মারা যান ১ জন। ৯ সেপ্টেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ জন, তবে মারা যাননি কেউ। ১০ সেপ্টেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৬ জন, মারা যান ১ জন।
চলতি বছরের মাসভিত্তিক পৃথক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জানুয়ারিতে ৭৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২২ জন, মার্চে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে মাসে ৫৩ জন, জুন মাসে ২৮৩ জন, জুলাই মাসে ২ হাজার ৩১১ জন এবং আগস্টে ৩ হাজার ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে জানুয়ারিতে ৩ জন, জুনে ৬ জন, জুলাইয়ে ১৬ জন, আগস্ট মাসে ২৮ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে এখনও পর্যন্ত ৮ জন মারা গেছেন।
এই প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ইলিয়াছ হোসেন চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে এডিস মশার প্রজনন বেড়ে গিয়েছে। আর এজন্যই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করে তুলেছি। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে ইতোমধ্যে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এডিস মশা নিধন কার্যক্রম জোরালোভাবে কার্যকর করা না গেলে আগামীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে পারে। তাই মশক নিধন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে চট্টগ্রামের মেয়রকে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছি।’

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং