1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বাগমারায় ধর্ষনের ঘটনায় গ্রাম্য শালিস থেকে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত ধর্ষক পলাশবাড়ীতে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে এক প্রক্সি পরীক্ষার্থী আটক ! ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী’র লাহিড়ী  সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় রাজস্ব ফাঁকিদিয়ে ৩৩ লাখ টাকার জমি বিক্রি দেখানো হয়েছে ১৬ লাখ টাকা! রাজশাহীতে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ  ঝালকাঠিতে ইউনিয়ন পরিষদ সার্ভিস এসোশিয়েশন’র কমিটি গঠন বাগমারায় লাহার আলী হাফেজিয়া ক্বারিয়ানা ও এতিমখানা মাদ্রাসায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ওসি’র বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করায় সড়ক অবরোধ থানা ঘেরাও  ইক্ষু খামার থেকে অপহৃত কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিক আটক করায় – তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ সাংবাদিকদের

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে

সাজীদ মাহমুদঃ গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধ এতদিন স্থায়ী হবে সেটি হয়তো অনেকেই মনে করেন নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ ইউরোপের সবচেয়ে বিধ্বংসী সংঘাত।

করোনা মহামারীর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠার আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ যুদ্ধের ফলে ইউরোপজুড়ে গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণে জিনিসপত্রের দাম লাগাম ছাড়া হয়ে গেছে। গত তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য।

রাশিয়ার উপর বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারেও। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধের খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। সংস্থাটি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে ১১৬টি দেশের ওপর একটি সমীক্ষা করেছে, যেখানে দেখা গেছে এসব দেশের পরিবারগুলোর জ্বালানি খরচ বেড়েছে ৬৩ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১৩ শতাংশ পর্যন্ত।

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। খাদ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটাই আমদানি নির্ভরশীল।
গম আমদানিতে বাংলাদেশ রাশিয়ার উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। ফলে দেশে গম এবং অন্যান্য সকল বেকারি খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে।

এই যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি ও ডলারের সংকট তৈরি করেছে। গত প্রায় ১০ বছরেই ডলারের বিনিময় মূল্য রাখা হয়েছিল ৮৬ টাকার আশপাশে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমস্যা বেড়েছে। ডলারের অবমূল্যায়ন করতে হয়েছে ২০ শতাংশের বেশি। রিজার্ভ কমে গেছে। ব্যাহত হয়েছে দেশের উৎপাদন।

বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া কিছু দেশের কাছে কম দামে জ্বালানি বিক্রি করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক তেল প্রধান দেশ আবার জ্বালানি দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলস্বরূপ পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বাংলাদেশকে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।

আমাদের দেশের পোল্ট্রি ফিডে সবচেয়ে বড় উপকরণ হচ্ছে ভুট্টা। বিশ্ববাজারে ইউক্রেন ১৬% ভুট্টা সরবরাহ করে। বাংলাদেশও চাহিদার বড় অংশ আমদানি করে ইউক্রেন থেকেই।
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন থেকে ভুট্টা সরবরাহ আসতে পারছে না বলে বাংলাদেশে পোল্ট্রি ফিডের দাম বেড়েছে। যার প্রভাবে মুরগির দামও এখন চলে গেছে সাধারণের নাগালের বাইরে।

সারের ক্ষেত্রেও কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ রাশিয়ার মুখাপেক্ষী অনেকাংশে। সারের একটি বড় অংশ আমদানি করা হয় রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে। যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ায় দেশটি থেকে সার আমদানি করা যাচ্ছে না। যার ফলে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে গিয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার প্রথম থেকেই এ যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য উন্নত দেশগুলো ও বিশ্ব সংস্থার নেতাদের প্রতি অনুরোধ ও আহ্বান জানিয়ে আসছে। বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন রেখে, মানুষের মঙ্গলের কথা ভেবে এ যুদ্ধ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
দিনশেষে শান্তিই প্রত্যাশিত বিশ্ববাসীর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং