ঝড় আমীন।। ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক জামায়াত প্রার্থী নির্বাচন না করার ঘোষণা দেয়ায় জয়ের ব্যাপারে দলীয়ভাবে নিজেদের নির্ভার ভাবছে আওয়ামী লীগ। তবে, একই আসনে
সাতবারের বিজয়ী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অসুস্থ থাকায় তার পুত্র ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন সহ তার নিজ পরিবারের দু’জন ছাড়াও কমপক্ষে পাঁচজন প্রার্থী নির্বাচনের আগ্রহ জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসাবে পরিচিত এই আসনে নির্বাচনের মাঠে প্রাকাশ্য না থাকলেও, বিএনপির পক্ষে কাজ করছেন দলের একজন চিকিৎসক। কর্মীদের কেউ কেউ দলীয় মহাসচিবের পরিবার থেকেও প্রার্থী আশা করছেন। দুই যুগের বেশি সময় ধরে আসনটি তাদের হাতে নেই।
দেশ ভাগের পর ভারতের
[caption id="attachment_3758" align="alignleft" width="300"] বিজ্ঞাপন [/caption]
মালদহ থেকে এ পারে এসে আশ্রয় নেয় কিছু পরিবার। সময়ের সাথে সাথে সেই সংখ্যা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরও অনেক পরিবারের ঠিকানা হয়েছে পাহারগাঁওয়ে। এখানের জহুরা খাতুন তেমনই একজন। এখানেই বিস্তৃত হয়েছে তার পরিবার।
অন্যদেশে ঠিকানা গড়ায় হতাশা নেই তাদের, সবার মধ্যেই আছে এক ধরণের তৃপ্তি। কারণ, বেশ পরিবর্তন এসেছে এই গ্রামে। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠি নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছে ধীরে ধীরে। ফলে মাটির মায়ায় পড়ে গেছে তারা।
৮
পাহারগাঁওয়ের মতো আরো বেশ কিছু গ্রাম আছে যাদের আদী নিবাস মালদহে। ভোটার তালিকায় সেই সংখ্যা ৪০ হাজারের উপর। বলা হয় তারাই নাকি এই আসনে বিএনপি-জামায়াতের ভোট ব্যাংক। গেলো অন্তত তিনটি নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষন করলে দেখা যায় এই আসনটিতে বিএনপি তার জোট শরিক জামায়াতকে ছেড়ে দিয়েছে।
২০০১ সাল ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে চার থেকে পাঁচ হাজার ভোটের ব্যাবধানে হারে জামায়াতের প্রার্থী আব্দুল হাকিম। জামায়াতের ঘোষিত তালিকায় একবারও আব্দুল হাকিমের নাম থাকলেও তিনি নির্বাচন করতে চান না বলে দৈনিক ঝড় কে নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি এই আসনে এখনো বেশ অগোছালো। দুই যুগের বেশি সময় ধরে আসনটি তাদের হাতে নেই। এ কারণে ধীরে ধীরে ম্রিয়মাণ হচ্ছে কর্মসূচি। এর চেয়ে বরং জামায়াতে ইসলামীকেই বেশি সক্রিয় মনে হবে। অন্যদিকে টানা বিজয়ের কারণে আসনটিকে নিজের দুর্গ বানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপি এই আসনটিতে এখনো প্রার্থী দেবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। যদিও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পিতা মির্জা রুহুল আমিন একবার বিজয়ী হন। গুঞ্জন আছে মির্জা পরিবারের কেউ এই আসনে নির্বাচন করতে পারেন। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে বিএনপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের উপর।
বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর উপজেলা এবং রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ও কাশিপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনটি টানা সাতবার নিজের দখলে রেখেছেন দবিরুল ইসলাম। যার মধ্যে একবার কাস্তে মার্কায় আর ছয় বার নৌকার প্রতীকে। ফলে, এই আসনে আওয়ামী লীগ ও দবিরুল ইসলামের প্রভাব আছে। যদিও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাঁর পরিবারের আরো দু’জন মনোনয়ন চান। তবে এই আসনের জন সাধারণ আসন্ন নির্বাচনে অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন এর পক্ষে তাদের ভোট দেবে বলে মনোভাব ব্যক্ত করেন। তারপরেও সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের চার জন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছে।
আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন দবিরুল ইসলাম। তবে কোনো কারণে তিনি না চাইলে, নৌকার মাঝি হতে চান তাঁর বড় ছেলে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় আছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলম টুলু এবং সহসভাপতি প্রবীর কুমার রায়।
বিএনপি থেকে ড্যাবের মহাসচিব ডা. আব্দুস সালাম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আলম, সাধারণ সম্পাদক ড. টি এম মাহবুবর রহমান ও সাবেক এমপি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুলফিকার মর্তুজা চৌধুরী তুলা মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতা-কর্মী।
প্রধান দুই দলের বাইরে আলোচনায় আছেন জামায়াতে ইসলামীর ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুন নাহার বেগম। এসব প্রার্থীদের প্রায় সবাই গোপনে কর্মসূচি চালাচ্ছেন। বিভিন্ন ধরনের বাধা-বিপত্তির কারণে প্রকাশ্যে আসতে চাইলেও পারছেন না। অনেকে দ্বিধার মধ্যেও নিজেরা প্রার্থী হবেন বলে নানাভাবে জানান দিচ্ছেন।
প্রকাশক/সম্পাদক :- শাওন আমিন।। ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক :- মোঃ গিয়াস উদ্দিন।। নির্বাহী সম্পাদক :- ঝড় আমীন।। প্রধান কার্যালয় :- হালিশহর, চট্রগ্রাম। মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২০৬১১৬৩ ঢাকা কার্যালয়:-বাসা নং ৫১/৩,ধানমন্ডি ৩/এ, ঢাকা।-১২০৯ মুঠোফোন :- +৮৮০১৭১২৪১৫৮৫৩,+৮৮০১৫৮০৮২০৬৬৩,+৮৮০১৭১২০৬১১৬৩
E-mail :- newszhor@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত. বাংলাদেশ হোস্টিং