বিনোদন প্রতিবেদকঃ এই ডায়লগটার গভীরতা যে কতোখানি তা ছোটবেলায় বুঝতাম না।এতোটুকুই মনে আছে যে, সীনটা চলাকালীন সময়ে সবার চোখই টলমল করছিল।আবার কেউ কেউ শাড়ীর আচল দিয়ে মুখ গুজে কান্না করছিল।
কতই না স্মৃতিময় ছিলো তখনকার দিনগুলো।
এগুলোকে ভুলে যাওয়া খুবই মুশকিল।
সিনেমাঃ আম্মাজান
সিনেমাটির চলমান সময়ঃ ২ ঘন্টা ২৫ মিনিট
শ্রেষ্ঠাংশেঃমহানায়ক মান্না,শবনম,মৌসুমী, আমীন খান,ডিপজল,মিজু আহম্মেদ সহ আরো অনেকে।
পরিচালকঃ কাজী হায়াৎ
আই,এম, ডিবিঃ৭.৯
হালকা স্পয়লার
১৯৯৯ সালে “আম্মাজান” সিনেমাটি ডালিউড ইন্ড্রাস্ট্রীতে মুক্তি পায়।
যা মুক্তির পরপরই এক আলাদা উন্মাদনা সৃষ্টি করে ফেলে পুরো বাংলাদেশে।
বুড়ো থেকে জোয়ান সবাই হুমড়ি খেয়ে পরে সিনেমা হলে।
সিনেমাটি দর্শকের এতটাই ভালোবাসা পেয়েছিল যে মুক্তির প্রথম দিনই কোটি টাকা আয় করে ফেলে।
ঐ সময়ে সিনেমাটিতে মান্নার বাদশা চরিত্রের অভিনয় দেখে কাঁদেনি এমন লোক একটিও খুজে পাওয়া যাবে না।বাদশার তার মায়ের প্রতি এতটা ভালোবাসা দেখে সবাই আবেগ আপ্লূত হয়ে গিয়েছিল। প্রতিটি সিনেমাহলে কান্নার রোল পরে গিয়েছিল তখন।
“আম্মাজান” শিরোনামের গানটি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, গানটি নির্মানকারী সকলেই পুরুষ্কৃত হন নানান এ্যাওয়ার্ডে।এবং সিনেমাটিও অনেকগুলো পুরুষ্কার জিতে নেয়।
তাছাড়া ঐ বছর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মনোনয়নে পুরুষ্কৃত হন মান্না।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা আয়কারী সিনেমার মধ্যে এই সিনেমাটিও তালিকাভুক্ত।
যে পরিমান দর্শকের ভালোবাসা এই সিনেমা পেয়েছে তৎকালীন সময়ে এমন রেকর্ড অন্য কোনো সিনেমায় হয়নি।যা মাইলফলক হিসেবে স্মৃতির অগোচরেই রয়ে যাবে।
যাকে নিয়ে আজকে কথা হচ্ছে সেই আজকে আমাদের মাঝে নেই।কিন্তু তার এই অবদান কখনই বাংলাদেশের মানুষ ভুলতে পারবে না।
তার মৃত্যু যেমন পুরো বাংলাদেশকে কাঁদিয়েছে।
তেমনি এই সিনেমাটির জন্য সে অমর হয়ে রয়ে যাবে আজীবনের জন্য সকল সিনেমাপ্রেমীদের অন্তরে।