স্টাফ রিপোর্টার ।। শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বুধবার নানা কর্মসূচিতে পঞ্চগড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালিত হচ্ছে। বেঁচে থাকলে এদিন তার ৫৯ বছর পূর্ণ হত।
দুই বছর আগে থেকে শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে তার জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে তৃতীয়বারের মতো এবার দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে এদিন সকালে কালেক্টরেট চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে আবার সেখানে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে সেখানে অবস্থিত শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান। এর পর একে একে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এখানে শেক রাসেলসহ ১৫ আগস্ট শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ, জাতির সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বড় পর্দায় রাজধানী শহর ঢাকা থেকে দিবসটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। পরে একই স্থানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয় শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক হাসনুর রশিদ বাবু।
সভায় অন্যদের মধ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রিয়াজউদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়বুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সারোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন।
সভায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঘাতক চক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। ওই রাতে রেহাই পায়নি ১১ বছরের শিশু ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ রাসেলও। বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। তিনি জানতেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সোনার মানুষ গড়তে শৈশব থেকেই শিশুদের মধ্যে চারিত্রিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। জ্ঞান-গরিমা, শিক্ষা-দীক্ষা, সততা, দেশপ্রেম ও নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে তাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং সন্ধায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি শিশু পরিবারসমূহে ঐদিন দুপুরে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ও ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
এছাড়া সকল উপজেলা পর্যায় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথক পৃথক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেখ রাসেল দিবস পালন করে। এ উপলক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রমাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। #