স্টাফ রিপোর্টার ।। নৌকা ডুবিতে ৭২ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর পঞ্চগড়ের নৌকা ট্রাজেডির স্মরণীয় এলাকা বোদা উপজেলার মাড়েয়ার আউলিয়ার ঘাটে করতোয়া নদীতে অবশেষে বহুল কাঙ্খিত ওয়াই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে ।
বুধবার বিকালে রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন আউলিয়া ঘাটে ওয়াই আকৃতির সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্মরণ করছি, গত বছর সনাতণ ধর্মালম্বীদের মহালয়ার দিনে আওলিয়ার ঘাটে মর্মান্তিক নৌকাডুবির ঘটনায় ৭২ জন মারা যান। আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। এই এলাকা মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি আউলিয়ার ঘাটের একটি ব্রিজের জন্য আমাদের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। দীর্ঘ প্রচেস্টার পর, বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে অবশেষে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলো। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি অনুযায়ী আগামী দেড় বছরের মধ্যে ব্রীজটির কাজ সম্পন্ন হবে। ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৯১ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৭.৩২ মিটার প্রস্থ ইংরেজি ওয়াই আকৃতির ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে এলজিউডি। এখানে ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরুর ফলে এলাকা মানুষের দীর্ঘদিনে দাবি পূরণ হলো। এটি হবে দেশের দ্বিতীয় ও বৃহত্তম ওয়াই ব্রীজ।
সুজন বলেন, ‘কথা দিয়েছিলাম এখানে ব্রীজ হবে। আওয়ামী লীগ ভাওতাবাজির রাজনীতি করে না। জনগণকে মিথ্যা আশ^াস দেয় না।’
তিনি ব্রীজ নির্মাণ কাজে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আগামীতে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলামসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন ব্রীজের উদ্বোধন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ মাড়েয়া হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর নদীর ওপারে একই উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা নদী পার হওয়ার সময় মাঝপথে ডুবে যায়। এ সময় অনেকে সাঁতরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন নারী-শিশুসহ ৭২ জন পূর্ণার্থী। ৭১ জনের লাশ উদ্ধার হয়। একজনের সন্ধান মেলেনি।
করতোয়ায় সেতু নির্মাণে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। এতে বড়শশী ও কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন সরাসরি উপজেলার সদরের সাথে সংযুক্ত হবে। সেতুটি হলে স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে। উৎপাদিত কৃষি পণ্য পরিবহণের সহজ হবে। #