নুরুল ইসলাম পলাশবাড়ী গাইবান্ধা) থেকে।। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৫ নং মহদীপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য রাহিদুল ইসলাম বাবু ও একই উপজেলার শিরিনা বেগম গভীর রাতে পরকীয়া প্রেমে অন্তরঙ্গ মিলেমেশা করতে গিয়ে হাতে নাতে আটক হওয়ার পর গণধোলাই দিয়ে ইউপি সদস্য রাহিদুুল ইসলাম বাবু কে গাছে ও শিরিনা বেগম কে ঘরে বেধে রাখে। পরে দুজন কে পুলিশের হাতে দিয়েছে জনতা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাত্রে মহদীপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য রাহিদুল ইসলাম বাবু আমলাগাছী ছাইয়েরঘাট আগপাড়া গ্রামের দুই সন্তানের জননী শিরিনা বেগমের এর সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে হাতে নাতে উক্ত নারীর বসতঘর হতে জনতার হাতে আটক হয়। আটকের পর স্থানীয়রা ইউপি সদস্য বাবুকে গণধোলাই দিয়ে উক্ত বাড়ীর আমগাছের সাথে বেধে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পলাশবাড়ী থানা পুলিশের একটি টিম ইউপি সদস্য রাশিদুল ইসলাম বাবু ও ঐ গৃহবধুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ইউপি সদস্য রাহিদুল ইসলাম বাবু পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বুজরুবিষ্ণুপুর গ্রামের আব্দুলের ছেলে। সে ৫নং মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যও দৈনিক বাংলাদেশের আলো, পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি। রাহিদুল ইসলাম বাবু নিজেকে জামায়াতের নেতা হিসাবে দাবি করলেও একাধিক জামায়াতের নেতা ও আমিরের সাথে কথা হলে জানা যায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সংগঠনের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।
এ, বিষয়ে পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনর্চাজ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন,এ ঘটনায় আটক কৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, রাহিদুল ইসলাম বাবু ও শিরিন বেগম দীর্ঘ দিন যাবত পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েছিলো। বিষয়টি শিরিন বেগমের স্বামী বুজতে পেরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় নিজ বসত ঘরের ইউপি সদস্য রাহিদুল ইসলাম বাবু ও শিরিন বেগম কে হাতে নাতে আটক করে গণধোলাই দিয়ে বেধে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।