।। কামরুল হাসান খোকন।।
আর ফিরবেন না। সদালাপী, সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখের আপাদমস্তক রাজনৈতিক এই মানুষটা।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
দায়িত্ব পালন করছিলেন বেশ সময় জুড়ে সভাপতি পদে। ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগে। এক-ই সাথে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদেও। শুরু থেকেই। মৃত্যুকালীন অবধি।
আশির দশকে জেলা যুবলীগ এর সভাপতি ছিলেন। বিরানব্বই পর্যন্ত টানা ওই পদে ছিলেন। যুবলীগ-কে দিয়েছিলেন শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি। জেলায়। আওয়ামী লীগ -এ দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রচার সম্পাদক ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগে। ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক।
নিজ রাজনৈতিক-ব্যক্তিগত চরিত্রে কোন কালিমা স্পর্শ করতে দেন নি। কোনদিনও। সৎ ছিলেন। সৎ রেখেছিলেন নিজেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত।
টাকাকড়ি কামানোর এ যুগটাই তিনি ছিলেন একেবারে বেমানান। কোন দুর্নীতি তাকে ছুঁতে পারে নি কক্ষন ও, কোনোদিনও। ছিলেন ঠাকুরগাঁও এর সাধারণ মানুষের প্রিয়ভাজন।
তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আমাদের চিরচেনা সেকালের আওয়ামী লীগের শেষ মানুষটিও চলে গেলেন বোধ হয়। এখন তো আর ওই দলটা নেই। যা আমরা ভাবতাম, দেখতাম। যুক্ত ছিলাম।
আজ কিছুক্ষণ পূর্বে ঢাকায় মেয়ের এখানে হঠাৎ অসুস্থ্য বোধ করার পরপরই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি হৃদরোগের রোগী ছিলেন। অ্যাজমা রোগেও ভুগছিলেন অনেকদিন ধরে।
আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলা’মীন পরপারে চিরশান্তিতে রাখুন। প্রার্থনা।
পরিবার, আত্মীয়-স্বজন-রাজনৈতিক সহকর্মী সহ সবাইকে মহান সৃষ্টিকর্তা এ শোক সাম্লে উঠার শক্তি দান করুন।