ঝড় প্রতিবেদন।। রাঙ্গামাটি জেলার লংগদুর বগাচতর ইউনিয়নের অন্তর্গত চিবেরেগা এলাকা থেকে অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীরা চুরি করে অবৈধ কাঠ পাচার করছে এধরনের খবর দেয় স্থানীয় এক পাহাড়ী নেতা।পরে খবর পেয়ে বিজিবি এবং বনবিভাগ কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কাঠ জব্দ করতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সোমবার ২৪ অক্টোবর ভোর ৬ টায় অবৈধ পথে সরকারী টেক্স ফাকি দিয়ে, প্রশাসনের নজরের বাহিরে গাছ গুলো পাচার করতে চেয়েছে চোরাকারবারিরা, পরে স্থানীয় এক পাহাড়ী নেতার সংবাদের ভিত্তিতে গাছ গুলো নলুয়া ছড়ার ভিতর থেকে জব্দ করে বিজিবি ও বনবিভাগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সেই পাহাড়ী নেতা বলেন, পাহাড়ে রিজার্ভ প্রায় শেষ সরকারী নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে পাহাড়ী বাঙ্গালী মিলে পাহাড়কে বন শূণ্য করে ফেলেছে। এটা থেকে বাঁচতে হলে প্রশাসনকে পাহাড়ের আরো ভিতরে গিয়ে অভিযান চালানো দরকার।এতে করে বনাঞ্চল টিকে থাকবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, লংগদু উপজেলার বিজিবির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সময় দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টা টহল অভিযান পরিচালনা করার কারণে এলাকার জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি আছে । টহলের কারণে পাহাড়ী বাঙ্গালীর সম্প্রীতি এখনো টিকে আছে। তাছাড়া শিবারেগাতে যে ক্যাম্পটি হওয়ার কথা এটি হলে এলাকা আরো উন্নত হতো। আমরা পাহাড়ীরা চাই দ্রুত ক্যাম্পটি যেনো সরকার দিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নে লংগদুর ৩৭ বিজিবি রাজনগর জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল শাকিল এর নির্দেশে রাঙায়্যা চাকমা, পীং-শরত্যা চাকমা, গ্রাম-চিন্তারাম ছড়া, ৫নং ওয়ার্ড, ৩০নং সারোয়াতলী ইউনিয়ন এর আনুমানিক ১৫০ ঘনফুট সেগুন কাঠ যার স্থানীয় বাজারমূল্য ১ লক্ষ টাকা জব্দ করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়,এবিষয়েও জেএসএস বিভিন্ন অনলাইনে মিথ্যাচার করেছে।
এবিষয়ে গাছের মালিক রাঙায়্যা চাকমা বলেন, গাছ আমার ঠিক আছে গাছ গুলো যার কাছে বিক্রি করেছি সে অন্য ফার্মিটির কাগজ দেখিয়ে প্রশাসনকে ফাকি দিতে গিয়ে আমার গাছ গুলো হারিয়েছি, এখানে প্রশাসনের কোন দোষ নাই। এখানে আমরা আইন মোতাবেক কাজ না করার কারণে এটার ফল পেয়েছি।