স্টাফ রিপোর্টার ।। ‘‘রক্তের জাত নেই, দৃষ্টিতে মৃত্যু নেই’’ প্রতিপাদ্যে পঞ্চগড়ে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাাইটির সহযোগিতায় পঞ্চগড় সিভিল সার্জন অফিস র্যালী, আলোচনা সভা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে একটি র্যালী বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল কাদের। এ সময় তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সর্বস্তরের জনগণকে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানের মতো মানবিক কর্মসূচিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “স্বেচ্ছায় রক্তদানকে উদ্বুদ্ধ করতে সরকার কাজ করছে। স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিকে আরও বিস্তৃত করতে হবে, যাতে মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদানে সচেতন ও আগ্রহী হয়।”
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আফরোজা বেগম রীনা ও বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মনসুর আলম। পরে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন,‘‘সরকার অন্ধত্ব প্রতিরোধে এবং চক্ষুরোগ চিকিৎসার উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আমরা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ঢাকা ও গোপালগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতাল নির্মাণ করে ছানিসহ চোখের বিভিন্ন রোগের অপারেশনের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা করছি। ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে করে স্বেচ্ছায় অঙ্গদান ও মৃত্যুর পর চক্ষুদানে আর জটিলতা থাকবে না। মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আইনানুগ কোনো উত্তরাধিকারের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে অঙ্গ নেওয়া যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরাপদ রক্তের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭২ সালে বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে অন্ধত্ব সমস্যা সমাধানের জন্য ‘অন্ধত্ব মোচন অর্ডিন্যান্স’ জারি করেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।”
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাঁধনের কর্মকর্তা ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। #