আহমেদ ইসমাম।।আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঢাকা টাইমসের মুখোমুখি হয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন। তিনি ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের বড় ছেলে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ ইসমাম
দৈনিক ঝড় : আপনার বাবা ৭ বারের বর্তমান এমপি। কিন্তু তার পরিবর্তে আপনি কেন নির্বাচন করতে চাচ্ছেন?
মাজহারুল ইসলাম সুজন: আমার বাবা সাতবারের সংসদ সদস্য। তিনি স্বাধীনতার পর থেকে চেয়ারম্যান ছিলেন। উনি এখন গণমানুষের নেতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি সকলকে নিয়ে এই এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে আমিও কাজ করে যাচ্ছি। এক সময় ছাত্রলীগ করতাম। পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ করেছি। পরবর্তীতে আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছি। আমি আমার বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছি। বাবার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে রাজনীতিতে এসে জাতির জনকের আদর্শ ধারণ করে এলাকার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য আমার বাবা যতদিন নির্বাচন করতে চান আমি উনার সহযোগী হয়ে থাকতে চাই। তবে আমার বাবা যদি অনুমতি দেন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে আমি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
দৈনিক ঝড় : আপনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই দীর্ঘ পথে কী কী ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে?
মাজহারুল ইসলাম সুজন: আমি দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতি করেছি। সেই সময় থেকে যেখানে যত আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে সেখানে সক্রিয়ভাবে যোগ দিয়েছি। সে সময় অনেক মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে আমাদের ওপর হামলা হলে বিএনপি-জামায়াত আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই মামলায় আমিসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জেলে থাকতে হয়েছে। আমি সংসদ সদস্যের ছেলে হওয়ায় আমার ওপর অনেক নির্যাতন করা হয়েছে।
দৈনিক ঝড় : আমরা জানি তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ আপনাকে পছন্দ করে। এই জায়গাটা আপনি কীভাবে তৈরি করলেন?
মাজহারুল ইসলাম সুজন: আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে তরুণদের নিয়ে কাজ করছি। বিশেষ করে শিক্ষামূলক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও বিভিন্ন বয়সের খেলাধুলার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। তাদেরকে কীভাবে ভালো কাজে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে কাজ করছি বলেই তারা আমাকে পছন্দ করে।
দৈনিক ঝড় : আপনি বেশ কয়েকবার জেলে গিয়েছেন। কেন জেলে যেতে হয়েছিল? জেল জীবন কেমন ছিল?
মাজহারুল ইসলাম সুজন: আমি জেলে যাওয়ার পর রিমান্ডে নিয়ে আমার ওপর অত্যাচার করা হয়েছিল। এ সময় আমার পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে গেলে নানাভাবে হয়রানি করে ও আমাকে অন্য জেলায় পাঠিয়ে দিতে চায়।
দৈনিক ঝড় : যেহেতু আপনার বাবা ৭ সাত বারের পার্লামেন্টেরিয়ান। এমন পার্লামেন্টেরিয়ান সারা দেশে হতে গোনা কয়েকজন আছে। এ থেকে বোঝা যায় তিনি এই এলাকায় জনপ্রিয়। আপনি কি তার চেয়েও বেশি জনপ্রিয় হতে পারবেন সাধারণ মানুষের কাছে?
মাজহারুল ইসলাম সুজন: আমি জাতির পিতার আদর্শে কাজ করছি। উনার একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। আমি স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই। আমার বাবার যে শুভাকাঙ্ক্ষী আছে তাদের নিয়ে কাজ করছি ও কাজ করে যেতে চাই। নেত্রী যদি আমাকে চায় ও এলাকার মানুষ ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করে তবে আমার বাবার অসমাপ্ত কাজের স্বপ্নগুলো শেষ করতে চাই। বিশেষ করে জাতির পিতার স্বপ্নের অনেক অংশ এই এলাকায় বাকি আছে।
দৈনিক ঝড় : আপনি এমপি হলে সবার আগে কোন কাজটি করবেন?
মাজহারুল ইসলাম সুজন: আমাদের লক্ষ্য ছিল শতভাগ বিদ্যুৎ ও ভালো সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, সেটি আমরা বাস্তবায়ন করেছি। এসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে কৃষিনির্ভর মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার ব্যাপারে গুরুত্ব দেব। একই সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী এলাকায় প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে চাই, যাতে নতুন প্রজন্ম আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদেরকে উপযোগী করে তুলতে পারে, এছাড়া স্থানীয় পর্যটন নিয়েও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।