আর এ লায়ন সরকার :শীতলক্ষ্যা নদীতে নোঙর করা তেলবাহী জাহাজ থেকেই হাজার হাজার লিটার জ্বালানি তেল চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই চুরির সাথে শুধু তেল চোর চক্র সিন্ডিকেট জড়িত নয়। জড়িত জাহাজের মেরিনার মাষ্টার। যাদের কাছে অসহায় জাহাজ মালিকগণ। সন্ধ্যা হলেই শীতলক্ষ্যা নদীর বুকে নোঙ্গর করা জাহাজে তেল চুরির মহোৎসব শুরু হয়। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। ওইসব চোরাই তেল দোকান হয়ে পাইকারি ও খুচরা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যায়। ছোট দোকান, অয়েল ফিলিং স্টেশন, গাড়ির গ্যারেজ, বড় শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন জায়গাতেই ওই তেল যায়। সম্প্রতি এমন অভিযোগ অনুসন্ধানে তথ্য মিলে, শীতলক্ষ্যা নদীতে বেশির ভাগ তেল চুরি হয় ময়েজ উদ্দিন সেতুর কাছাকাছি সিমেন্ট কোম্পানির সংলগ্ন নোঙ্গর করা জাহাজ। এদের মধ্যে তেল লোড আনলোডের দায়িত্বে থাকেন জাহাজের মেরিনার মাষ্টার। জাহাজে তেল চোর মামুন সবচেয়ে চতুর লোক বলে পরিচিত সে বসবাস করে বেদে পল্লীতে। তেল চোরের গডফাদার ঘোড়াশাল পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমরান। এই ইমরান পূর্বে নাজমুল সিএনজি পাম্পে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। হাজার হাজার লিটার তেল চুরি করে বিভিন্ন পাম্প ও খোলা বাজারে বিক্রি করছে কাউন্সিলর এমরান। মামুনের মাধ্যমে এসব অভিযোগ স্বীকার করেছেন। কিন্তু যারা জাহাজ থেকে খুচরা তেল কিনে নেন তারা বলছেন, এরা কমিশনে তেল পাচার করছেন। এভাবে চোরাই পথে তেল বিক্রি করে অভিযুক্তরা গড়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। দুদক অনুসন্ধানে এর সত্যতা মিলবে বলে ঘাটের তেল কারবারীরা জানান। কাউন্সিলর এমরান গড়ে তুলেছেন বিশাল এক চোর চক্রের বাহিনী যারা রাতের আধারে শীতলক্ষ্যা নদীতে নোংর করা জাহাজ থেকে চুরি করে থাকেন,চোর চক্রের মূলহোতা কাউন্সিলর এমরান রাতের বেলার চোরায় তেল দিনের বেলা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। তেলচোর চক্রের কারণে জাহাজ মালিকগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাজার হাজার টাকা চোরাই পথে তেল বিক্রির কারণে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। তেলচোর চক্রের লেবার সরদার মামুন জানান আমার কাজ হইলো তেল আমি রাত্রে বেলা উপরে উঠায়া দেওয়া কাউন্সিলর ইমরান কোথায় বিক্রি করে সে বিষয়ে আমার জানা নেই, আমি শুধু লেবার এটুকু আমি বলতে পারি তবে এই তেল কালীগঞ্জসহ নরসিংদীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয় এটা আমি বলতে পারি, তবে কাদের কাছে বিক্রি করা হয় তাদের নাম জানিনা এটা মূল যে মালিক কাউন্সিল সে বলতে পারবে। তেল চুরি করে বিক্রির বিষয়ে কাউন্সিলর ইমরান এর বক্তব্য নিতে গেলে তার অফিসে তাকে পাওয়া না যাওয়া, একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোন দেওয়ার পরও তার ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তেল চুরির বিষয়ে জানতে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না ঘোড়াশাল ফাঁড়ি এলাকায় এটি খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারব।