নিজস্ব প্রতিবেদক।।সারাদেশে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছড়াছড়ি,নির্বাচনী যুদ্ধকে ধীরে ধীরে জমজমাট করে দিচ্ছে।এতে করে এই নির্বাচনে ব্যাতিক্রমি অনেক কিছু পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও আরও হবে।
প্রথমতঃ এবার কেন্দ্রই স্বতন্ত্র প্রার্থী হবার সুযোগ করে দিয়েছে। এর মানে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না।
তৃণমূলের সক্রিয় প্রার্থীরা নির্বাচনে এলে ভোটার উপস্থিতি ব্যাপক বাড়বে। ফলে, আওয়ামী লীগকে ভোটারহীন নির্বাচনের তকমা মাথায় নিতে হবেনা।
এতে, এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয় নাই, বিএনপি-জামাত এবং বিদেশিরা এই অভিযোগ তুলতে পারবে না।
প্রচার প্রচারণায় প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নির্বাচনী আমেজ তৈরী হবে। এমপিদের কাছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের গুরুত্ব পুনঃ প্রতিষ্ঠ হবে।
যেসব এমপিরা,গত ১৫ বছরে প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের অপমান অপদস্ত করেছেন, এবার তাদের উচিত শিক্ষাটা হবে।
তৃণমূলের কাছে নৌকার সত্যিকারের মাঝি কে, তা বুঝা যাবে। এতে কেন্দ্র ও তৃণমূলের চিন্তার দূরত্ব কমে যাবে। জরিপের মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছে সঠিক তথ্য যাচ্ছে কিনা, তা প্রমানীত হবে।
তৃণমূল সক্রিয় থাকলে আগের মত বিএনপি- জামাত নির্বাচন প্রতিহত কিংবা সহিংসতা তৈরী করতে সাহস করবে না।
নির্বাচনের জন্য মাঠ না ঘাট, কোনটা বেশি জরুরি তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
নির্বাচনে না এসে যারা সহিংসতা করে, সেই জামাত বিএনপি বাদেও যে ভোট স্বতঃস্ফূর্ত ও সুষ্ঠু করা যায় তা প্রমাণিত হবে। যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
ভোটার বাড়লে বাড়লে এবং ভোট সুষ্ঠু হলে, সাধারণ জনগণ ও বিদেশিদের কাছে জামাত – বিএনপির গুরুত্ব কমে যাবে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ভয়ে এবার স্থানীয় প্রশাসন নির্বাচনে খুব সতর্ক থাকবে, কারসাজি করে কোনো প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত হবেনা, এতে নির্বাচনে প্রশাসনের দৌরাত্ব কমবে।
তবে,স্বতন্ত্ররা নির্বাচনে আসার ফলে তৃণমূলে কিছু বিশৃঙ্খলা তৈরী হবে,নির্বাচনের পর নির্বাচিতদের সাথে নিয়ে কেন্দ্রকে সেই সমস্যা দূর করতে হবে। কারণ এবারের নির্বাচন হচ্ছে অনেকটা মনোনীত মাঝিদের বিরুদ্ধে,নৌকার বিরুদ্ধে না। এখন পর্যন্ত দেখা, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবাই ই দলের দুর্দিনের পরীক্ষিত যোদ্ধা, হাইব্রীড কিংবা ঘাটের বিশেষ খাতিরের লোক না।