।। পবারুল ইসলাম ।।
গত কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা ঘটেই চলেছে। এই অগ্রগতি আমাদের জীবনকে ক্রমাগত সহজ ও সুবিধাজনক করে তুলেছে।
স্মার্টফোন থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন শপিং এবং অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম পর্যন্ত – প্রতিদিনের উপভোগ্য প্রযুক্তিগুলোই আমাদের জীবনকে সহজ, দ্রুত এবং সুবিধাজনক করে তুলেছে।
যেমন, স্মার্টফোনের আবির্ভাব আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করেছে। এককালে যারা চিঠি লিখে মাস খানেক পরে জবাব পেতো, আজ তারা মাঝে মধ্যে ভিডিও কলে একে অপরের মুখ দেখছে। সোশ্যাল মিডিয়া পৃথিবীকে ছোট করে তোলার সাথে সাথে জীবনকেও সহজ করে তুলেছে।
অনলাইন শপিং বা ই-কমার্স আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। তবে এই সব প্রযুক্তিগুলো মানব মস্তিষ্কেও প্রভাব বিস্তার করেছে। যেমন মানুষের মনোযোগ বিচ্যুত হয়েছে, ভাবনা শক্তি হ্রাস , সময়ের অপচয় বেড়েছে ইত্যাদি। তাই প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণের সাথে সাথে তার অসুবিধা গুলো থেকেও নিজেকে রক্ষা করা খুব প্রয়োজন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ব্লকচেইন প্রযুক্তি, ইন্টারনেট , কোয়ান্টাম কম্পিউটিং,ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, ডিজিটাল কারেন্সি ইত্যাদি বহু নতুন নতুন প্রযুক্তি তৈরি হয়েছে , হচ্ছে এবং হবে। এগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবন, কর্মস্থল, পরিবেশ ও অর্থনীতিকে কার্যত পরিবর্তন করে দেবে।
উদাহরণস্বরূপ, ব্লকচেইন দিয়ে অর্থনীতি এবং ব্যবসা পরিচালনা করা হবে । আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে করা হবে চাকরি, বিচার বিভাগেও ব্যবহার হবে। এমনকি একটি সময় আসবে যখন রোবট মানুষের চাকরি করবে।
টেকনোলজি এবং বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি আমাদের উন্নতির জন্য অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এগুলোর সঠিক ব্যবহার করার জন্য এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।