ফজলার রহমান গাইবান্ধা থেকে ঃ
গাইবান্ধায় বড় ছোট নদীর নদী গুলোতে অষ্টমী স্নানে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল প্রতি বছরের মতো মানবকুল উদ্ধার এবং পাপ মোচনের আশায় গাইবান্ধার কল্যাণপুর, কামারজানি, বালাসীঘাট ও ফুলছড়িসহ বিভিন্ন স্থানের ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও যমুনা নদীর তীরে অষ্টমী স্নানের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের লাখো পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছিলো।
৫ এপ্রিল শনিবার ভোর থেকে হাজারো মানুষ নদীর তীরে আসতে শুরু করেন এরপর হতে শুরু হয় অষ্টমী স্নান। হিন্দুধর্মালম্বীদের এ স্নান কে ঘিরে নদী এলাকায় জমে উঠে গ্রামীন মেলা।
স্নান এর সময় দেখা যায়, স্নানের সময় ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরিতকি, ডাব, আমপাতা নদীর পানিতে অর্পণ করছেন তারা। উৎসবকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানীর ব্রহ্মপুত্র নদ, ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট এবং ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে মেলা বসেছে। এদিকে দূর-দূরান্ত থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চলে এসেছেন কামারজানির নদীর তীরে। প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত বালুর ওপর তৈরি হয়েছে নানান রকম পণ্যের স্টল। নদীর কূল ধরে বসেছে বিভিন্ন রকমের দোকানপাট। মাটির জিনিসপত্র তো আছেই। পাশাপাশি উঠেছে মাটির তৈরি বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি, পুতুল, বাঘ, আম, নৌকা, খুরমা বাতাসা, চিনির তৈরি জীবজন্তুর প্রতিকৃতি, হাঁড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। এছাড়াও মেলায় শিশুদের খেলাধুলার চরকি, নাগরদোলা স্থান নিয়েছে। বসেছে মাছের বাজারও। মেলায় সব ধর্মের মানুষ বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম স্নান হলো অষ্টমীর স্নান। এই মেলা ঘিরে কোনো ধরনের অঘটন যেন না ঘটে, সেদিকে স্থানীয় সকল ধর্মের মানুষের ও জনপ্রতিনিধিরা নজর রাখে। এছাড়া পুলিশ-আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে পালন করে।
গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর ইসলাম তালুকদার সাংবাদিদের বলেন, গাইবান্ধার কামারজানিতে হিন্দুদের অষ্টমীর স্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশ ও আনসার সদস্যদের নিয়োজিত রয়েছে।