কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা :-চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠানে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে এক অসহায় পরিবারের বসতবাড়ি জায়গা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্হানীয় থানার কাছে সহযোগিতা চেয়েও মেলেনি কোন সহযোগিতা।
জানা যায়,উপজেলা বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার অনুরোধে পুলিশ এ প্রসংগে কোন মামলা নেননি,ফলে বাধ্য হয়ে গত ২৪মার্চ মাননীয় আদালত বরাবরে একটা অভিযোগ দায়ের করে, যার নাম্বার সিআর ১৭১/২৫.আদালত বিষয়টা আমালে নিয়ে ফৌজদারি অভিযোগ টা তদন্তের জন্য গোয়েন্দা বিভাগকে নির্দেশ দেন।ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান বাদী হয়ে এই অভিযোগ টা দায়ের করেন। আদালতে দায়ের কৃত অভিযোগ হতে জানা যায়, মামলার বাদী ও অভিযুক্ত আসামিরা একই এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন যাবত উভয়ের মধ্যে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসতেছে। এ বিষয়ে বিগত সময়ে স্হানীয় চেয়ারম্যানকে বাদী লিখিত অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান অভিযোক্তা আসামীরকে প্রয়োজনীয় দলিল, কাগজ পত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হওয়ার জন্য বার বার নোটিশ প্রদান করলেও অভিযোক্তরা কোন কর্নপাত করেনি,পরবর্তীতে দেশের পটপরিবর্তনের সাথে সাথে অভিযুক্তরা বেপরোয়া হয়ে উঠে,তারই ধারাবাহিকতায় অভিযোক্ত দুই নাম্বার আসামী ২নং বড়উঠান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস হায়দারের নেতৃত্বে অন্যান্য অভিযুক্ত আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীর বসত ঘরের সামনে এসে বাদীর দখলীয় জায়গায় জোর পূর্বক দেয়াল দেয়ার চেষ্টা করলে বাদীর ভাই নাজিম উদ্দীন বাধা প্রদান করলে ইকবাল হোসেন ও ইদ্রিস অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে একপর্যায়ে বাদীর ভাই তারেক জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯এ কল দিলে কিছুক্ষন পর পুলি ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার সাথে সাথে ইকবাল হোসেন বাচা ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাদীর ভাই নাজিমকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে।অভিযুক্তরা নাজিমকে শুধু হামলা করে শান্ত হয়নি,তারা অভিযোগকারীর বৃদ্ধ মা’কে ও টানা হেচড়া,কিল ঘুষি, লাথি মারতে থাকে।এবং ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচোর করে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান, বিএনপি নেতা ইদ্রিস ও সাইদুর রহমান একই প্রতিবেশী। ইদ্রিস ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতা প্রয়োগ করে সাইদুর রহমানের পরিবারের ওপর নানাভাবে শারীরিক লাঞ্ছনা, হেয় প্রতিপন্ন করা ও অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন করে আসছিলেন। তাদের অত্যাচারে আমাদের সেখানে বসবাস করা দুরূহ হয়ে উঠেছিল। সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ বিএনপি নেতা ইদ্রিস ও তার গুন্ডাবাহিনী সাইদুর রহমানের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে।তারা আরো বলেন, এই বিএনপি নেতা ইদ্রিস ক্যাডারভিত্তিক সন্ত্রাস ও ত্রাস কায়েম করেছে। তারা বর্তমানে ৪,,৫,ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মূর্তিমান আতঙ্ক।পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। কে সেই ইদ্রিস— কর্ণফুলী উপজেলা শাহামির পুর ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমজুর জরি আহম্মদের সন্তান ইদ্রিস।শিক্ষা জীবনে সে ছাত্রদলের রাজনৈতিকের জড়িত ছিল, ১৯৯৬ সালে যুবদল নেতা বদিউল হক হত্যাকান্ডে দায়ের কৃত মামলার বাদী ছিলেন সেই ইদ্রিস,মামলা দায়ের করার কয়েক মাস পর আসামিদের নিকট হতে সামান্য টাকা নিয়ে মামলা প্রত্যারহার করতে এফিডেভিট দিয়ে দিলে মামলা টা প্রত্যাহার হয়ে যায়,সামান্য লোভের কারনে বদিউল হকের বিচারটা আর হল না,বিষয় টা জানা জানি হলে টাকার বিনিময়ে বদিউল হকের মামলা প্রত্যাহার করার কারণে ইদ্রিস কে তখন দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তার পর সে দীর্ঘ দিন আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে ২০১০ সালে বিএনপির এক সিনিয়র নেতার আর্শীবাদ নিয়ে সে আবার মাঠে কাজ করতে থাকে,সেই সাথে যোগ দেন বীমা কোম্পানিতে,বিএনপির পরিচয়ে সে বীমা কোম্পানিতে এলাকার সহজসরল মানুষ ডিফিএস ও বীমা করে দেয়,গ্রাহক তাকে সরল বিশ্বাসে বীমার কিস্তি ও ডিফিএসের মাসিক কিস্তি দিয়ে থাকতো অফিসে জমা দেয়ার জন্য, গ্রাহকদের সরলতা নিয়ে ছিনিমিনি করতে থাকে,শত শত গ্রাহকের কিস্তির টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে,কিস্তির টাকা জমার ব্যাপারে থাকে ফোন করলেও ফোন রিসিভ করে না।কারো সাথে রাস্তা দেখা হলে দলের প্রভাব দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।তার ও অন্যান্য সহযোগীদের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে,এলাকাবাসী, সাধারণ বিএনপির সমর্থকদের দাবী ইদ্রিস গংদের ব্যাপারে দলের হাইকমান্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জোর দাবী জানাচ্ছে।