শহীদুল ইসলাম শহীদ,পঞ্চগড় ।।পঞ্চগড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, একটা অভ্যূত্থানের সবচেয়ে বড় দায়বদ্ধতা যে, শহীদ পরিবার ও আহতদের সাথে থাকা। শহীদ পরিবারটা যেন আমাদের পরিবার হয়ে ওঠে। এক দেড় হাজার পরিবারের কাছে আমরা চাইলেই যেতে পারিনা। কিন্তু যখন যেই এলাকায় যাই, আমাদের যে শহীদ পরিবার থাকে, আমরা চেষ্টা করি সেই শহীদ পরিবারের বাসায় যাওয়ার, তাদের খোঁজ খবর নেওয়ার এবং আমাদের জায়গা থেকে যেটুকু করা দরকার সেটি করার চেষ্টা করি।
রোববার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের নায়েক পাড়া এলাকায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ সাগর ইসলামের পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া ও কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বাংলা নববর্ষ পালন নিয়ে সারজিস বলেন, বিগত ১৬ বছর দেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে দলীয় প্রভাবের পাশাপাশি বিদেশী রাষ্ট্রেরও প্রভাব ছিলো। বিগত বছরের নববর্ষ গুলোতে খুব স্বাভাবিক ভাবেই শুধু দলীয় নয় বিদেশী রাষ্ট্রের প্রভাব আমরা দেখেছি। তাদের মত করে দলের যেমন ছিলো, তেমনি বিদেশী রাষ্ট্রের এজেন্সির ওইরকম কনসেপ্ট তৈরি করে এই নববর্ষ গুলোতে বিভিন্ন ধরণের অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হতো।
সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের ৫৩-৫৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। ফিলিস্তিনের মজলুমদের পাশে দাড়াতে কোন ব্যানার নিয়ে নয় দলমত নির্বিশেষে সবাই পাশে দাড়িয়েছে। জাতিসংঘ ইউনিসেফ মানাবাধিকারের বড় বড় লেকচার দেয়। কিন্তু গাজায় সেটা তারা করেনি। আমরা পৃথিবীর সবার কাছে আহ্বান জানাই ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য।
এ সময় চাকলাহাট ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, শহীদ সাগরের বাবা রবিউল ইসলাম, নাগরিক পার্টির পঞ্চগড়ের সংগঠক তানবীরুল বারী নয়ন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।।