স্টাফ রিপোর্টার ঃনরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা দালাল-চক্রের দৌরাত্ম্য, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের কালো অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে— এমনটাই দাবি করছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। সাবেক মন্ত্রী ,সংসদ সদস্য, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আবদুল মঈন খানের নির্দেশনায় বর্তমানে পলাশে ফিরেছে শৃঙ্খলা ও শান্তি। সন্ত্রাস ও ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন উপজেলা ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
আওয়ামী দোসর ও বিএনপি দালালদের অপপ্রচার
বাহাউদ্দিন ভূঁইয়া মিল্টন, পলাশ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জানান— অতীতে আওয়ামী লীগের গপন্থী কিছু লোক ও বিএনপির কিছু সুবিধাভোগী দালাল দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে পলাশে লুটপাট চালিয়েছে। তারা মাদক, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকাকে কলঙ্কিত করেছে। তবে বর্তমানে ড. মঈন খানের নেতৃত্বে সেই অপশক্তির শিকড় উপড়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, “যারা চুরি ডাকাতি করতে পারছে না, তারাই আজ মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমাকে এবং বিএনপিকে কলঙ্কিত করতে মিডিয়া ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
মিথ্যা সংবাদ ও অপপ্রচারে তীব্র প্রতিবাদ
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে বাহাউদ্দিন ভুইয়া মিল্টনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ‘পুরোপুরি বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করছি, কোনো চাঁদাবাজি বা অবৈধ কর্মকাণ্ডে আমার জড়িত থাকার প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। পলাশকে শান্তিপূর্ণ রাখাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
মেহের পাড়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মনির বলেন, “ড. আবদুল মঈন খান ফেরেশতার মতো একজন রাজনীতিবিদ। তাঁর পাশে যারা কাজ করেন, তারা সবাই জনবান্ধব ও নীতিবান মানুষ। মিল্টন ভাই পলাশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই পুরাতন চোর-ডাকাতরা এখন অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছে।”
সাবেকদের অপকর্মের দায় বর্তমান নেতৃত্ব নিচ্ছে না
স্থানীয় ছাত্র নেতা মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “সাবেক এমপি পোটন, মেয়র তুষার, মোশাররফ প্রফেসর, মান্নান গংয়ের মতো চিহ্নিত আওয়ামীপন্থি কিছু দালাল পিডিবি-ওয়াসা থেকে শুরু করে সরকারি প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করেছে। তারা এখন আর সুযোগ পাচ্ছে না বলে বিএনপির ভালো কাজকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে।”
উন্নয়নের পথে পলাশ: মঈন খানের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা
ড. মঈন খানের দূরদর্শী নেতৃত্বে পলাশ এখন ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, দখলদারিত্ব, ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ। জননিরাপত্তা ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন বর্তমান বিএনপি নেতৃত্ব।
পলাশের বর্তমান রাজনীতিতে সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্বে যে উত্তাপ বিরাজ করছে, তা প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। জনসাধারণ চাইছে শান্তি, স্থিতি ও উন্নয়ন। ড. আবদুল মঈন খানের মতো পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতার মাধ্যমে সেই প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে— যদি অপপ্রচারের কাঁটাগুলো সরিয়ে সামনে এগোনো যায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে পলাশে সার কারখানা সহ বিভিন্ন মিলকারখানা থেকে তামা চুরি করে বিক্রি করতেন মোশারফ প্রফেসর, জুলহাস, গং তাদের সাথে বিএনপির কিছু দালাল জড়িত ছিল এখন চুরি করতে পারে না তাই ফৈসিস্টি মিডিয়া দিয়ে অপপ্রচার করছে ।