1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় স্থাপনের দাবি ছাত্রজনতার দেবীগঞ্জে চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করলেন ডিসি দীর্ঘ ১৯ বছর পর বোদা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন বোয়ালখালী সদরে গোমদন্ডী পাইলটস্কুলের হলরুমে জিয়া স্মৃতি পরিষদ’র উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বালিয়াডাঙ্গীতে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জোর পূর্বক গ্ৰাম্য সালিশ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথ দেখানো এক আলোকবর্তিকা — সাইমুন মজুমদার দেশে বাড়ছে রাজনৈতিক – আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল চীনের হাসপাতাল।। পঞ্চগড়ে করার দাবিতে উত্তাল পঞ্চগড়।। মুসল্লিদের অবস্থান মানববন্ধন আধুনিকতার ছোয়ায় হারিয়ে গেছে শৈশবের খেলাধূলা চার মাসের সন্তানকে বিক্রি করে দেহকে সাজসজ্জা ও মোবাইল কিনলেন মা!

রাঙ্গামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের জজ এর সাথে ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের গভীর আঁতাত!!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩
  • ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টার।। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মাননীয় জজ ইসমাইল হোসেন, রাঙ্গামাটিতে বিচারক হিসেবে এসেছে প্রায় দেড় বছর। এসময় তিনি পাহাড়ের সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করেছেন। চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তার পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারী যুদ্ধাপরাধী; একজন আত্মস্বীকৃত রাজাকার। দালাল আইনে ত্রিদিব রায়ের নাম রয়েছে। যুদ্ধাপরাধের কারণে এদেশে পবিত্র মাটিতে তার জায়গা হয়নি, সে পাকিস্তানে শায়িত। পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য সবসময় তৎপর রাজাকার পুত্র ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়। এমন ব্যক্তির সঙ্গে উক্ত আদালতের মাননীয় জজ ইসমাইল হোসেনের ঘনিষ্ঠতা! আদালত পাড়ায় কথিত আছে, বিচারক ইসমাইল হোসেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়ের বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করেন ও বিভিন্ন ধরনের উপঢৌকন,মোটা অংকের টাকা ও দাওয়াত খেয়েছেন! দেবাশীষ রায় সবসময় বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। দেশ-বিদেশে বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার রটিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। ১৯৯২ সালে লৌগাং গণহত্যা নিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভিডিও ক্যাসেট তৈরি করে। কলোম্বিয়া সে ভিডিও ক্যাসেট পাচার করতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে তাকে পুলিশ আটক করে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চেষ্টাকারী ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রাষ্ট্রের জন্য গভীর চিন্তার আভাস এবং পার্বত্য বাঙ্গালীর জন্য কালো মেঘ।

আরো খোলাসা করে বললে, বিচারপতি ইসমাইল হোসেন পূর্বে সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহা-এর ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন। তার সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এবং আত্মা স্বীকৃত রাজাকার ত্রিদিব রায়ের পুত্র দেবাশীষ রায়ের ঘনিষ্ঠতা রাষ্ট্রের পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন করবে।

উক্ত মাননীয় জজের প্রসঙ্গটি আসে লংগদুতে পাহাড়ি মেয়ে ধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালতে আসামীর বিরুদ্ধে রায়ের পর হাইকোর্ট তিন মাসের জামিন দেয় আসামীকে। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। তাই মাননীয় জজের বিষয়টি সামনে আছে।

বিভিন্ন সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়, উক্ত জজ রাঙ্গামাটি আসার পর থেকে উপজাতি মেয়ে বাঙ্গালীর সঙ্গে প্রেম ও কথিত ধর্ষণ, বা বিবাহ ঘটিত সেসকল মামলা হয়েছে সেসকল মামলার রায় দেবাশীষ ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চাহিদা অনুযায়ী করা হচ্ছে৷ আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সবসময় পাহাড়ি নারী বাঙ্গালী পুরুষদের সঙ্গে কথা, প্রেম কিংবা বিবাহের শাস্তি গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা এবং জরিমানার অঘোষিত বিধান চালু করেছে৷ মূল কথা তারা পাহাড়ি নারী বাঙ্গালী পুরুষ সম্পর্কিত সবধরনের বিষয়ের বিরোধী। পাহাড়ি নারী বাঙ্গালীর পক্ষে থাকুক আর বিপক্ষে থাকুক আঞ্চলিক সংগঠন সর্বদা পিতা-মাতা বা যে কাউকে বাদী করিয়ে মামলা করার ধর্ষণ কিংবা অপহরণের। ঠিক তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে রাঙ্গামাটির লংগদুতে। সেই মামলার জের ধরে উত্তপ্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

বাদী: গোপা দেবী চাকমা (৪০), স্বামী: বিন্দু চাকমা, সাং- করল্যাছড়ি, আটারকছড়া ইউ.পি, উপজেলা: লংগদু রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

আসামী: মোঃ আব্দুর রহিম (৪৫), প্রধান শিক্ষক, করল্যাছড়ি আর এস উচ্চ বিদ্যালয়, পিতা: মোঃ আবু সায়েদ, সাং- মুসলিম ব্লক, ০২নং ওয়ার্ড, মাইনী মুখ ইউ.পি, উপজেলা: লংগদু, জেলা: রাঙ্গামাটি।

মামলার সূত্র অনুযায়ী, মামলার ভিকটিম সোনাকেকা চাকমা (সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া স্কুল ছাত্রী) স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধর্ষণ করেন। মাতা হিসেবে গোপাদেবী চাকমা জিআর ৩৭৫/২০২০ মামলা দায়ের করেন। লংগদু থানার মামলা নং-০২, তারিখ, ০৫/১০/২০২০ খ্রিস্টাব্দ (ধারা:- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধন/০৩) এর ৯ (১)। মামলাতে বলা হয়েছে ভিকটিম ছাত্রী সোনাকেকা চাকমা কে লেবু দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে করল্যাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম (৪৬), মোবা নং-01820365798, জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। যার কারণে ভিকটিমের মাতা মামলা করেন। এই ধর্ষণ ঘটনাটি পাহাড়ের বহুল আলোচিত-সমালোচিত ঘটনা। এই মামলায় শিক্ষক আব্দুর রহিম বেকায়দা পড়ে। তার স্ত্রী সন্তানও রয়েছে। আত্মসমর্পণ করেও কারাগারে যেতে হয়। কারণ তার পক্ষ-বিপক্ষ দল সৃষ্টি হয়। আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী দলগুলো জড়িয়ে পড়ে তাই ঘটনাটি শুধু লংগদু উপজেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি ছড়িয়েছে সারাদেশে। যদিও অভিযোগ ওঠে আসামী প্রভাবশালী তাই ধর্ষণ ঘটনার পর দামাচাপা দিতে চেষ্টা করে অর্থ দিয়ে। পরবর্তীতে মামলার বাদী- ভিকটিম এবং আসামী বসে মিমাংসা করেন বিবাহ শর্তে। ভিকটিম সোনাকেকা চাকমা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী হওয়ায় ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম রাখেন শাহিনা আক্তার সোনাকেকা। ধর্ম সংশোধন রাঙ্গামাটি নোটারী পাবলিক রেজিঃ নং: বা বন্ড ৩৬/২০২১, তারিখ, ১৩/১২/২০২১ ইং। আসামী ভিকটিমকে বিবাহ করেন। যার রাঙ্গামাটি নোটারী পাবলিক রেজি নং- বা বন্ড-৩৭/২১, তারিখ, ১৩/১২/২১ খ্রিঃ। ধর্ম পরিবর্তন এবং বিবাহ করার পরও ধর্ষণ মামলা হইতে অব্যাহতি দেয়নি উক্ত বিচারিক আদালতের জজ। ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর তাকে যাবজ্জীবন ও অর্থ অর্থদণ্ডে কারাদণ্ড দেয়। পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্টকে বিবাহের কাগজপত্র উপস্থাপন করে জামিন প্রার্থনা করা হয়; ভিকটিমকে এক একর জমি দেওয়ার শর্তে আসামীর তিন মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন মহামান্য হাইকোর্ট।

এই নিয়ে শুরু হয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলোর অপপ্রচার। উপজাতি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী গুলো নিম্ন আদালতের রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছে আর মহামান্য হাইকোর্টের জামিনের বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পার্বত্য বাঙ্গালীকে ধর্ষক হিসেবে উপস্থাপন সহ মহামান্য হাইকোর্টের কঠোর সমালোচনা করেছেন। যা মহামান্য হাইকোর্টকে অবমাননার শামিল এবং পার্বত্য বাঙ্গালীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার শামিল। নিম্ন আদালতের মাননীয় জজ ইসমাইল হোসেন মামলাটির রায় দেওয়ার পূর্বে এ অঞ্চলের জাতিগত ও ধর্মীয় ভেদাভেদ এর বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেনি। যার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং সম্প্রীতি বিনষ্ট সহ এ অঞ্চলের বাঙ্গালী ও রাষ্ট্রের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। যেহেতু মামলার বাদী-বিবাদী সমোঝোতার অংশ হিসেবে আপোষ মিমাংসা করে- বিবাহের রূপ দিয়েছে সেহেতু মামলাটিতে আসামী শিক্ষক আব্দুর রহিম (৪৬) কে মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থ দণ্ড নিঃসন্দেহে বিতর্ক ও সমালোচনা তৈরি করেছে। এবং এই রায় যে, বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী, ইউপিডিএফ-জেএসএস এবং বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত থাকা চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়ের আদিষ্ট হয়ে দিয়েছেন, তা প্রমাণিত হয়েছে অতিরিক্ত সাজা। মাননীয় জজ ইসমাইল হোসেন মামলায় আসামীর কোন কিছুকে আগ্রহ করেননি। তিনি বর্ণিত মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন। যার কারণে পাহাড়ের আকাশে কালো মেঘ জমেছে এবং দেশদ্রোহী উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গুলো পার্বত্য বাঙ্গালীদের ধর্ষক হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে এ অঞ্চলের বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও ধর্ষণের মত ঘৃণিত তকমা প্রসার হবে। যার কারণে এ অঞ্চলে বাঙ্গালী ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হবে।

উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী এবং সমতলের সুশীল ও বামদল ও প্রগতিশীলদের দাবি-
“আসামী মো. আব্দুর রহিম ঘষামাজার জাল কাগজপত্র বানিয়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছে! কিন্তু নিম্ন আদালত তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে৷ এটাই সঠিক বিচার। ধর্ষকের সঙ্গে বিবাহ দেওয়া আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। ভিকটিম ও তার পরিবারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে এসব করা হয়েছে; উচ্চ আদালত ভিকটিমকে এক একর জায়গা দেওয়ার শর্তে আসামীকে তিন মাসের জামিন দিয়েছে। তা কোনভাবেই কাম্য নয়। ধর্ষকের সাথে বিবাহ বা সমোঝোতা নয়। আসামী ভয়ভীতি দেখিয়েছে মামলার বাদী ও ভিকটিমের বাড়িঘর দখল করে নিয়েছে।”

উপরোক্ত অভিযোগের আলোকে যদি বলা হয়, বিবাহের কাগজপত্র যদি ঘষামাজা বা জাল জালিয়াতি হয় সেটা আদালত প্রমাণ করবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে। আরো যদি খন্ডিত করা হয়, ধর্ষকের সাথে যদি ভিকটিম সেচ্ছায় বিবাহে রাজি হয় তাতে উপরোক্ত মহলের সমস্যা কী? ভিকটিম কী তার আত্মসম্মান এবং ভবিষ্যৎ চিন্তা করবেন না? আসামী ভিকটিম বয়সের বিরাট ফারাক আছে ঠিক আছে কিন্তু আইনে কোথাও বিবাহ করতে বাধা নেই।

মামলার আসামী শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম দাবি,” তিনি নির্দোষ। তার সঙ্গে পূর্ব থেকে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং পরবর্তীতে মামলার পর তারা আইন ও ধর্মীয় রীতি মেনে বিবাহ করেছে। তার কাছে সম্পূর্ণ ডকুমেন্ট রয়েছে। স্কুল থেকে তাকে সরাতে এমনটা করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলো ষড়যন্ত্র করেছে এবং মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে এবং বিচারিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করেছে। একপাক্ষিক বিচার করেছে জজ। আসামীর কোনকিছুই আমলে নেয়নি৷ উদ্দেশ্য প্রণোদীতভাবে হয়রানি এবং ক্ষতিগ্রস্থ করার অংশ হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থ দণ্ড দিয়েছে। এটা সন্ত্রাসীদের চাহিদা বাস্তবায়ন৷ আমি আইনের প্রতি শ্রদ্বাশীল এবং সেই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন মামলার হাজিরা এবং মামলার বিষয়গুলো আইনীভাবেই মোকাবেলা করে ইতোপূর্বে মহামান্য হাইকোর্ট হইতে তিন মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ করি৷ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার করছে৷ যা মামলার বিচার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করবে এবং আদালত অবমাননার শামিল৷ ভিকটিম আমার পক্ষে আমি তার ভরণপোষণ এবং পড়াশোনার খরচ বহন করি। বর্তমানে আমার স্ত্রীকে সন্ত্রাসী কর্তৃক হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং আমার স্ত্রীর পিতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট জবানবন্দি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আদালতের বিচার কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে। ভিকটিমকে আদালত এবং আমার হেফাজত থেকে স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করতে চাপ প্রয়োগ করার পাশাপাশি হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যার প্রমাণাদি সংরক্ষিত আছে।”

যদি ভিকটিম প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং বিবাহ সম্পাদন করে তারপরও কী ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন হয়? নারী নির্যাতন আইন অনুযায়ী ভিকটিমের জবানবন্দি কে প্রাধান্য দিতে হবে কিন্তু নিম্ন আদালত ভিকটিমের কোন কথাকে আগ্রহ দেখাইনি৷ এতে প্রমাণিত উক্ত বিচারক একটি গোষ্ঠীর প্রলোভনে এমন বিতর্কিত রায় দিয়েছে।

তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং এ অঞ্চলের জাতিগত ভেদাভেদ অবসানের অংশ হিসেবে উক্ত বিচারককে মামলার আসামীর প্রতি সহনীয় হওয়া উচিত৷ উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও চাকমা সার্কেল চীফের কবলে বা কব্জায় রাঙ্গামাটির বিচারিক ব্যবস্থা। তা থেকে বের হতে হবে। এবং ভবিষ্যতে পাহাড়ি-বাঙ্গালী এমন সব মামলার রায়ের ক্ষেত্রে উক্ত অঞ্চলের জাতিগত ও ধর্মীয় বিভেদ যাতে তৈরি না হয় সেদিকে নজর দেওয়া উচিত বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়।

সংযুক্তি-

১। বাদী গোপাদেবী চাকমা-আসাসী মো. আব্দুর রহিম আপোষ- মীমাংসার কাগজ।

২। মামলার ভিকটিম এর বৌদ্ধ ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার নোটারী পাবলিকের কাগজপত্র

৩। মামলার ভিকটিম সোনাকেকা চাকমা বর্তমান শাহিনা আক্তারের সঙ্গে আসামী আব্দুর রহিমের বিবাহের নোটারী পাবলিকের কাগজপত্র

৪। মামলা হতে আসামী জামিন পাওয়ার বাদী গোপা দেবী চাকমার অনাপত্তিপত্র।

৫। ৩৬,৩৭ হলফনামা বন্ড বাতিলের জন্য আঞ্চলিক দল চাপ প্রয়োগ করলে তা বাতিলের জন্য স্বাক্ষর করেন ভিকটিম। পরবর্তীতে হলফনামা বন্ড ৩৫/২০২২, ৫/০৯/২০২২ করে তা জানান ভিকটিম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং