মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি।।
দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মানবকল্যাণে। মানব সেবার জন্য সংগঠন কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেনা। বরং সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। ভারত সরকারের নির্দেশনায় মহান মুক্তিযুদ্ধে এক কোটি শরণার্থীর দেখভাল করবার দায়িত্ব সেদিন অর্পিত হয়েছিল রামকৃষ্ণ আশ্রমের ওপর। তিনি বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের ‘শিবজ্ঞানে জীবসেবা’ বাণীতে ভাবিত হয়ে দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ধর্মচর্চার পাশাপাশি সমাজসেবার ক্ষেত্রে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই প্রতিষ্ঠান শতবর্ষ ধরে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল ধর্মের মধ্যে সৌহার্দের ভাব প্রচার করে আসছে দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন এর শতবর্ষপূর্তি উদযাদপন উপলক্ষ্যে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিনাজপুর ইনস্টিটিউ প্রাঙ্গণে এক যৌথ আয়োজনে রামকৃষ্ণ আশ্রমকে দেয়া সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দিনাজপুর পূজা উদযানপ পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখা, গীতা সংঘ, জেলা ব্রাহ্মন সংসদ এই যৌথ সংবর্ধনা প্রদানের আয়োজন করে। এসময় প্রধান অতিথি মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিভাত্মানন্দজী মহারাজের হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন।
দিনাজপুর ইনস্টিটিউট এর সভাপতি আব্দুস সামাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম, দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিভাত্মানন্দ, সন্ন্যাসী সমানন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক উত্তম রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রতন সিং, ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. ডিসি রায়, ফুলতলা কেন্দ্রীয় শ্মশান ঘাটের সাধারণ সম্পাদক গৌর চন্দ্র শীল, ব্রাহ্মন সংসদ জেলা শাখার সহ সভাপতি সন্ধ্যা বাগচী।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন উর রশিদ।