হাজী জাহিদ, পলাশ, নরসিংদী।
ঘোড়াশাল পৌরসভায় অভিনব কায়দায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর আদায় করছেন নরসিংদীর ঘোড়াশাল পৌর মেয়র আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার। কর আদায় সারা দেশের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে মহল্লার অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। নাগরিকদের জন-দুর্ভোগের অভিযোগ শুনে তৎক্ষণাৎ দ্রæত সমাধান করে দিচ্ছেন, এতে গন সংযোগও হচ্ছে, এক সাথে দুই কাজ , কর আদায় এবং গনসংযোগ । আপিল বিভাগ বসিয়ে কর আদায় সহজ করে দিচ্ছেন তিনি। এতে নগরবাসীদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ির সামনে মেয়রকে পেয়ে তারা খুশি। মাত্র ২০ টাকা ফি দিয়ে আপিল করে পৌর কর কমিয়ে নেওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা মেয়রের কাছে সরাসরি তুলে ধরতে পারছেন।
শতভাগ নাগরিক সেবা ও নগর উন্নয়নের কথা বলছেন নরসিংদীর ঘোড়াশাল পৌর মেয়র আল মুজাহিদ হোসেন তুষার। জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে নগরবাসীর বাড়ি বাড়ি হাজির হচ্ছেন। এক মাস ধরে পৌর নগরের ৯টি ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় আপিল বিভাগ বসিয়ে স্থানীয় জন-দুর্ভোগের কথা শুনছেন। দ্রæত সমাধান করার পাশাপাশি পৌর কর আদায় করছেন এই মেয়র। এতে করে স্থানীয়রা পৌর কর কমানোর পাশাপাশি নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা মেয়রের কাছে সরাসরি তুলে ধরতে পেরে অনেকটাই আনন্দিত নগরবাসী।
সরেজমিনে বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর গুচ্ছগ্রাম স্কুল ও তার আগে ) বেলা ১১ টার দিকে পৌর নগরের ৭নং ওয়ার্ডের টেকপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে পৌর কর আদায়ের জন্য আপিল বিভাগ বসিয়ে পৌর কর আদায় করছেন মেয়র তুষার। পাশাপাশি নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা ও দুর্ভোগের কথা শুনছেন। দ্রæত সমাধান করে দেওয়ারও আশ্বাস দিচ্ছেন তিনি।
এ সময় সেবাগ্রহীতা ব্যবসায়ী মাকসুদুর রহমান মাকসুদ এবং আব্দুল মান্নান ও পৌরসভার সাধারন নাগরিক খোরশেদ আলম, জব্বর মিয়া, মানবাধিকার সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু সহ অনেক নাগরিক বলেন, পৌর নির্বাচনের আগে এবং মেয়র হওয়ার আগে তিনি জনগনকে কর আদায়ের সমর্থের সাথে সামদৃষ্য করে কর নির্ধারন করা হবে মেয়র হয়ে তিনি এখন তার কথা বাস্তবে পরিনত করছেন এবং আরও বলেন পৌরসভায় গিয়ে আপিল করে পৌর কর কমাতে গেলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও পৌর কর কমানোর সুযোগ পেতাম না। আমাদের মেয়র আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার ভাই নিজ উদ্যোগে আমাদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌর কর আদায় করছেন। এতে আমরা খুব সহজেই আপিল করে পৌর কর কমাতে পারছি। পৌর কর পরিশোধ করে নগর উন্নয়নের সহযোদ্ধা হয়ে মেয়রের পাশে থাকব। এক এক দিন এক এক ওয়ার্ডে সময় নির্ধারন করে তিনি কর আদায় করছেন এর সাথ গনসংযোগও করছেন।
জানতে চাইলে ঘোড়াশাল পৌর মেয়র আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার বলেন, শতভাগ পৌর কর আদায়ের লক্ষ্যে ও পৌর নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যার কথা জানতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌর কর আদায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে করে এক দিকে শতভাগ পৌর কর আদায় হবে বলে প্রত্যাশা করি। অন্যদিকে নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যার কথাও জানা হচ্ছে। নগরবাসীর সাড়া পাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, সারা বাংলাদেশের মধ্যে ঘোড়াশাল পৌরসভা কর আদায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি আধুনিক উন্নতমানের স্মার্ট পৌরসভা হিসেবে অচিরেই রূপ নিবে।