নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন। অবশেষে বিয়ের শুভ পরিণয়, স্বপ্ন সফল হলো বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে।
এর আগে ২ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে মঙ্গলবার রাত্রী পর্যন্ত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার, ৬নং ভানোর ইউনিয়নের, বিশ্রামপুর গোয়ালটুলি গ্রামের সেনাবাহিনীর সদস্য প্রেমিক কাউসারের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন প্রেমিকা শিরিন আক্তার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৫নং দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও গ্রামের শাহাদত হোসেনের কলেজ পড়ুয়া কন্যা শিরিনার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। ভানোর ইউনিয়নের বিশ্রামপুর গোয়ালটুলি গ্রামের রেজাউল ইসলামের ২য় ছেলে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সেনাসদস্য কাউসারের।
তারপর থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। দিনের পর দিন প্রতিমুহূর্তে চলে ফেসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজ আর চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে প্রেম’প্রেম খেলা। একপর্যায়ে দু’জনের সম্পর্কের গতিধারা হয়ে যায়, গভীর থেকে গভীরতম।
এর মাঝে কাউসার ছুটিতে এলে শিরিনকে নিয়ে রংবাগ চা বাগান, পীরগঞ্জ ফানসিটিসহ অনেক বিনোদনের স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছে।
তাদের গভীর সম্পর্কের বিষয়গুলি বাড়িতে জানাজানি হলে শিরিনকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায় তার পরিবার। প্রেমিকা বিষয়টি জানতে পেরে তার প্রেমিক কাউসারকে ছুটি নিয়ে দ্রুত বাড়ি আসতে বলেন, প্রেমিক কাউসার প্রেমিকার কথা মতো ছুটি নিয়ে বাড়ি আসলে শিরিন কাউসারকে বিয়ের কথা বলেন। কাউসার একপর্যায়ে শিরিনকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়, প্রেমিক কাউসার কোনমতেই প্রেমিকা শিরিনকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রেমিকা শিরিন বিয়ের দাবি নিয়ে সেনা সদস্য কাওসারের বাড়িতে অনশনে বসেন।
টানা ৪ দিনের অনশন আর নানা জল্পনা, কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, তোপের মুখে পড়ে গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে সেনা সদস্য কাউসার সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে প্রেমিকা শিরিনকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়।
এদিকে দীর্ঘ অনশনের পর বিয়ে হওয়ায় প্রেমিকার মুখে সুখের হাসি , কিন্তু প্রেমিক কাউসারের মন যেন ভারী, মুখে ক্লান্তির ছাপ।