1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বালিয়াডাঙ্গীতে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জোর পূর্বক গ্ৰাম্য সালিশ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথ দেখানো এক আলোকবর্তিকা — সাইমুন মজুমদার দেশে বাড়ছে রাজনৈতিক – আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল চীনের হাসপাতাল।। পঞ্চগড়ে করার দাবিতে উত্তাল পঞ্চগড়।। মুসল্লিদের অবস্থান মানববন্ধন আধুনিকতার ছোয়ায় হারিয়ে গেছে শৈশবের খেলাধূলা চার মাসের সন্তানকে বিক্রি করে দেহকে সাজসজ্জা ও মোবাইল কিনলেন মা! টাকা  /  নীলিমা আক্তার নীলা বৈষম্যহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে চীনা হাসপাতাল পঞ্চগড়ে করতে হবে – রাশেদ প্রধান পঞ্চগড়ে চীনের অর্থায়নে হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন নরসিংদীতে সাত বছর ধরে বদলি ছাড়াই এক পদে কর্মরত ইকরামুল হাসান, দুর্নীতির পাহাড় গড়ে হয়েছেন কোটিপতি

ঠাকুরগাঁওয়ে সেই ‘গায়েবি’ মাদ্রাসা: তদন্ত প্রতিবেদন জমা, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকায় এক ‘গায়েবি’ মাদ্রাসার অস্তিত্ব ঘিরে সম্প্রতি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সরেজমিনে তদন্তে উঠে এসেছে, ‘নতুনপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ নামে একটি ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই।

স্থানীয় প্রশাসনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, প্রতিষ্ঠানটির কোনো শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এমনকি কোনো পাঠদান কার্যক্রমও নেই। বরং একটি ধানখেতে সামান্য মাটি ভরাট করে সম্প্রতি একটি স্থাপনা দাঁড় করানো হয়েছে। অথচ সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮১ সালে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আক্তার গত ৬ এপ্রিল রোববার সরেজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।
বুধবার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেন, নতুনপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামক প্রতিষ্ঠানটির কোনো বাস্তব কাঠামো বা শিক্ষাকার্যক্রমের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে দাবিদার শাহিনুর আলম প্রতিষ্ঠাকালীন কোনো কাগজপত্র, শিক্ষক নিয়োগের রেজুলেশন অথবা মাদ্রাসার কার্যক্রম সংক্রান্ত কোনো নথি দেখাতে পারেননি। তদন্তকালে বর্তমান মাদ্রাসার জায়গায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নতুনপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন, মনসুর আলী, জহির হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘গায়েবি’ ওই স্থানে আগে কেবল ধান চাষাবাদ হতো। সম্প্রতি মাদ্রাসা জাতীয়করণের খবর ছড়িয়ে পড়লে একটি চক্র সেখানে ‘নতুনপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ নামে একটি কাঠামো তৈরি করে। স্থানীয়রা আরও জানান, একই নামের একটি এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা প্রায় ৫০০ মিটার দূরেই অবস্থিত—যার নাম পূর্ব বেগুনবাড়ী দাখিল ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শিক্ষক তালিকায় পূর্ব বেগুনবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মতিনের আত্মীয়স্বজনদের নাম রয়েছে। এদের মধ্যে আব্দুল মতিনের ভাতিজা জাহিদ হাসান, শ্যালিকা মোমেনা খাতুন, খালাতো শ্যালক আবদুল আজিজ এবং প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে রয়েছেন আব্দুল মতিনের বড় ভাই ও সদর উপজেলা বেগুনবাড়ী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমিনুল হক সরদার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “এই ভুঁইফোড় মাদ্রাসাটিকে জাতীয়করণের জন্য জোরেশোরে তদবির করছেন আমিনুল হক সরদার। বিভিন্ন মহলে তিনি রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারেরও চেষ্টা করছেন।”
এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনসাধারণ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এবং একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। তারা অবিলম্বে এই মাদ্রাসার জাতীয়করণ বা এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুতই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম বলেন, “৫০০ মিটার দূরত্বে একই ধরনের মাদ্রাসা থাকলে নতুনটি এমপিওভুক্তির যোগ্য নয়। অভিযোগগুলো ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিঞা মো. নূরুল হক বলেন, “আমরা ‘নতুনপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি বর্তমানে তদন্ত করা হবে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং