।। মোঃ মাজেদুর রহমান মিরু।।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর—নামটির মধ্যেই যেন এক প্রজ্ঞা ও ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, বরং একজন শিক্ষিত, রুচিশীল ও আধুনিক মানুষ, যিনি শিষ্টাচার ও সৌজন্যের মাধ্যমে রাজনীতিতে একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন।
ঠাকুরগাঁও শহরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। পেশাগত জীবনের শুরুতে শিক্ষকতা করতেন, এবং সেখান থেকেই মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সামাজিক দায়বদ্ধতার বীজ বপন করেন। এই শহরের ক্রীড়া, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত তিনি। তাঁর স্মার্টনেস, ব্যক্তিত্ব এবং অমায়িক ব্যবহার বিভিন্ন প্রজন্মের যুবকদের জন্য এক অনুকরণীয় আদর্শ। এ শহরের মানুষ তাঁকে নিয়ে কখনোই বিরূপ মন্তব্য করেননি—এটাই তাঁর প্রতি মানুষের আস্থার প্রমাণ।
রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করেও তিনি কখনো প্রতিপক্ষকে হেয় করেননি, বরং সৌম্য আচরণ ও যুক্তিনির্ভর বক্তব্যের মাধ্যমে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি যেন এক ব্যতিক্রমী চরিত্র—নেতৃত্ব দিয়েছেন নিরহংকারভাবে, লড়েছেন কিন্তু ঘৃণার পথে হাঁটেননি। তাঁর ভাষায় নেই বিদ্বেষ; আছে যুক্তি, শালীনতা ও ভাবনার গভীরতা। তাঁর প্রতিটি বক্তব্য যেন একজন শিক্ষিত, চিন্তাশীল ও প্রজ্ঞাবান রাজনীতিকের প্রতিচ্ছবি। তিনি একজন প্রতিরোধের কবি—যাঁর কবিতা আসে বুলেটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, তিনি শ্লোগানের চেয়েও গভীর সত্য উচ্চারণ করেন ।
তিনি যখন বলেন—“আমরা গণতন্ত্র চাই, আমরা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই”—তখন সেটা কেবল রাজনৈতিক স্লোগান নয়, বরং একটা গভীর শূন্যতার আর্তনাদ মনে হয়। এ দেশে ভোটের মূল্যবান অধিকার ধারাবাহিকভাবে খোয়া যায়! আর এই হারানো অধিকার নিয়েই তিনি কথা বলেন সংযমে, শুদ্ধতায়। তাঁর কথাবার্তায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, একজন সাংস্কৃতিক ও নৈতিক মানুষ তাঁর ভেতরে বাস করে। তিনি সমাজ ও সময়কে বোঝেন এক দার্শনিকের চোখে—যেখানে সন্ত্রাস নয়, যুক্তিই প্রধান হাতিয়ার।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর—তাঁর নামটিই যেন এক নীরব ভার। সেই ভার তিনি বইছেন নিঃশব্দে, সংযমে ও সাহসে। আজকের রাজনৈতিক পরিবেশে তিনি এক আলাদা সত্তা, যিনি প্রমাণ করেছেন—রাজনীতি মানেই কুটচাল নয়, হতে পারে এটি আদর্শ, সৌজন্য ও মানবিকতারও প্ল্যাটফর্ম।
তিনি ঠাকুরগাঁযের গর্ব, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর পরিবার ও তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে তথ্য সন্ত্রাস, মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানো হচ্ছে তা নিয়ে আমরা ক্ষুদ্ধ ও ব্যাথিত। ঠাকুরগাওবাসীর পক্ষে এ ঘটনার জন্য আমরা তীব্রক্ষোভ-নিন্দা জানাচ্ছি। এসব দেশী-বিদেশী কুৎসা রটনাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
সহকারী অধ্যাপক
ঠাকুরগাও রিভার ভিউ বিএম কলেজ।