ঝড় প্রতিবেদন।। বন্ধু হয়ে বন্ধুর সাথে প্রতারণামূলক অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে এক মোঃ নুরহানুল করিম নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মেসার্স এন পোল্ট্রি এবং ডেইরী ফার্ম এর মালিক বলে জানা যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তি তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংকটের কথা বলে ঘনিষ্ঠ বন্ধু আমান উল্লাহ থেকে বিভিন্ন তারিখে মোট ২৯ লক্ষ টাকা হাওলাত নেন। অতঃপর হাওলাতের টাকা পরিশোধের লক্ষ্যে বন্ধু আমান উল্লাহকে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে পাঁচটি চেক প্রদান করেন। প্রদত্ত চেক নগদায়নের জন্য দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ও.আর. নিজাম রোড শাখা চট্টগ্রামের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অপর্যাপ্ত তহবিল মন্তব্যে চেকটি ডিজঅনার করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা জমা না থাকা সত্ত্বেও চেক প্রদান করায় চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার হাজী আব্দুশ শুক্কুরের ছেলে সাংবাদিক আমান উল্লাহ (৩৫) বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাইজঘোনা গ্রামের মৃত আবদুল মতলবের ছেলে মো. নুরহানুল করিমকে আসামি করে চট্টগ্রামের একাধিক আদালতে মোট ২৯ লাখ টাকার চেক ডিজঅনার হওয়ার মামলা করেন।
ইতোমধ্যে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের আমলী আদালত, চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করা হয়। মামলা দুইটি হলো- সি.আর মামলা নং-৭৫২/২০২২ এবং ৭৪২/২০২২ (চান্দগাঁও)। উক্ত দুই মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করায় তিনি পলাতক রয়েছেন। এছাড়াও আরও তিনটি মামলা তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা যায়। মামলা তিনটি হলো- ১। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালত, চট্টগ্রাম। সি.আর মামলা নং-৭৫/২২ (চান্দগাঁও), ২। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ০১, চট্টগ্রাম। সি.আর মামলা নং-১৬৫/২০ (চান্দগাঁও) ও ৩। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ০১, চট্টগ্রাম। সি.আর মামলা নং-১৭৩/২০ (চান্দগাঁও)।
পাঁচ মামলার বাদী সাংবাদিক আমান উল্লাহ (আমান) বলেন, ‘নুরহানুল করিম একজন বন্ধুরূপী প্রতারক।তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংকট কাটাতে আমি বিশ্বাস করে এতগুলো টাকা ধার দিয়েছি। তিনি আমার টাকা ফেরত না দিয়ে; উল্টো হয়রানি করেছেন। তিনি আমাকে চেক দিয়েছেন, কিন্তু ব্যাংকে তার কোন টাকা নেই। তাই শেষ পর্যন্ত আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। নগদ ২৯ লাখ টাকা ও তিন বছর যাবত মামলা চালিয়ে এখন আমি নিঃস্ব। আমার থাকার জায়গাটুকুও নেই। এই অবস্থায় আমি প্রশাসনের সকল সংস্থার নিকট ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত নুরহানুল করিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি কখনোই আমার কাছ থেকে টাকা পান না। উনি (আমান উল্লাহ) আমার ব্যবসায়িক পার্টনার ছিল ; কাজেই ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে তিনি আমাকে হয়রানি করছেন।