একদিন ভ্রুণের গর্বে
আমার মেয়েবেলা হাসতো!
বিভ্রমে কেটে যেতো মেয়েবেলার দুরন্তপনা।
ঘুঙুরের বোল আর মেয়ে বেলার প্রসব ব্যথা
একাকার হতো!
নারীত্ব পাইনি তখন!
কাঁচাবয়স আর কাঁচামিপনায়
দেখতে দেখতে হাসপাতালের
করিডোরে আজানের ধ্বনি ” আল্লাহ আকবর” ছেলে বাচ্চা যে জন্ম দিয়েছে!
জীবন চলে দোলাচলে
জীবন এখন আর চিমনি ছাড়া হ্যারিকেন নয়! নয় ভোকাট্টা ঘুড়ি!
দায়িত্বে সেবিকা
গুরুজনে সেবিকা
পতিজনের সেবিকা
ভালো পারফর্মেন্সে বাচ্চার সেবিকা
কখনো কখনো আয়া, বুয়া, রক্ষি আর
—কিংকর!
ঘুম নির্ঘুম
আহা একটু যদি ঘুমাতে পারতাম!
হংসমোদক আড়ালে হাসে
মধুপ সখার আয়াশি ভাব!
ভৃঙ্গার তরলাধার নারী
আমি সময়ের কাছে বারাঙ্গনা হতে
নিরন্তর চেষ্টায়রত!
দোহারের তালে তালে কোমর দোলানো
কিংকিণী পায়ে ছটাক ছটাক তৈল মদর্ন
এইতো জীবন!
এর মানেই জীবন!
মুখেই পাশের বাসার ভাবীর সাথে বীরঙ্গনার দর্পে উজির নাজির
” হামসে বাঁড়া কোন হ্যাঁয়”
খোঁয়া যাওয়া জীবনের চিমনির
কথা ভুলেই চোখের কাজল লেপ্টে থাকে
কালসিটে দাগ হয়ে!
পেটে ক্ষুধার নিবৃত্তি
যৌবনে রহিত দ্বিপায়ন!
মাউথ স্পীকারে—
ঈশ্বরকে জানিয়ে দিতে ইচ্ছে করে
অচেনা জগত কেনো রুদ্ধ দ্বার
আর কতো মোসাহেবির তেলেসমাতি❓
চিবুক বেয়ে অশ্রু গড়ায়
তবুও ঈশ্বরের আশিষ,
তিনি এখনো আমায় বর্তে
বাঁচিয়ে রেখেছেন⁉️
আমি যে ধন্য হে ঈশ্বর ⁉️