মোঃ নুরনবী প্রতিনিধি বালিয়াডাঙ্গী,ঠাকুরগাঁও।।ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নিটালডোবার এক বয়স্ক মহিলার সাথে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা
সাদ্দাম নামে এক ব্যাক্তির ও সংঘবদ্ধ ভাবে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে আমজাদ ও আফতাবর নামে দুই জন ব্যাক্তির
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মোহাম্মদ আলী বলেন আমি ও আমার স্ত্রী মোছাঃ লাভলী আকতার আমরা উভয়ই কৃষি করিয়া সন্তানদের লালন পালন সহ কেনমতে সাংসারিক ব্যয়ভার বহন করিতেছি। সাদ্দাম, আফতাবর,, আমজাদ ও মোছাঃ হালি বেগম সকলের সাং নিটালডোবা থানাঃবালিয়াডাঙ্গী,ঠাকুরগাঁও
তারা সকলেই বদমায়েশ, জুলুমবাজ ও দূস্কৃতিকারী লোক হইতেছে। ঘটনার দিন গত ০৯/০৯/২০২৩ইং রোজঃ শনিবার সন্ধা অনুমান ৭.৩০ঘটিকায় আমার স্ত্রী মোছাঃ লাভলী আকতার প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার উদ্দেশ্য আমার বাড়ী সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে ফাঁকা জায়গায় প্রাকৃতিক কার্য্য সম্পন্ন করিতে থাকে।
উক্ত সুযোগে ১নং বিবাদী তাহার নিকট আসিয়া তাহার মুখ চাপিয়া তাহাকে মৃত্যুর ভয়ভীতি দেখাইয়া তৎসংলগ্ন পশ্চিম পাশে বিবাদের ধানের কাড়ী রাখার কাচাঁ ঘরে ঢুকাইয়া তাহাকে বাঁশের তৈরি খাটের উপর শুয়াইয়া তাহার পড়নের কাপড় চোপড় খুলিয়া তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পৃর্বক ভাবে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
লাবলী আক্তার বলেন আমি বিবাদীর নিকট হইতে কৌশলে নিজেকে মুক্ত করিয়া উক্ত ধানের কাড়ি রাখার কাচাঁ ঘর হইতে বাহিরে আসিয়া চিৎকার দিয়া কাঁদিতে থাকিলে ২/৩/৪নং বিবাদী আমার নিকট আসিয়া আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও আমার সাথে অশোভন আচরণ করে।
লাভলী আরো বলন যে ২/৩/৪নং বিবাদী নিকট প্রকাশ করিলে ২/৩/৪নং বিবাদী আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট শুরু করে।
আত্নরক্ষার চেষ্টাকালে ২নং বিবাদী তাহার দুই হাত দিয়া আমাকে গলা চাপিয়া শ্বাসরুদ্ধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে।
৩নং বিবাদী আমার মুখমন্ডলে চড়থাপ্পড় মারিয়া আমার নাক হইতে ০১আনা ওজনের একটি স্বর্ণের নাকফুল যাহার মূল্য ৫,০০/-টাকা ও আমার গলা হইতে ০৫ ভরি ওজনের একটি রুপার চেইন যাহার মূল্য ৭.৫০০/-টাকা জোর পৃর্বক ছিনতাই লয়।
৪নং বিবাদী বাঁশের লাঠি দিয়া দুই পা ও পিঠে /কোমরে পর্যায়ক্রমে ৭/৮টি স্বজোরে আঘাত করিয়া গুরুতর বেদনাদায়ক ও গুরুতর রক্ত জমাট বাধা ফুলা জখম করে।
মোহাম্মদ আলী বলেন বিবাদের মারপিঠের যন্ত্রাণায় আমার স্ত্রী লাভলী আকতার কাতার হইয়া বাঁচাও বাঁচাও বলিয়া চিৎকার দিলে তাহার চিৎকার শুনিয়া
তৈয়ব আলী,ফরিদা, সফিকুল,সখিনা সহ আরো অনেকেই ঘটনাস্থলে আসিয়া বিবাদের নিকট হইতে আমার স্ত্রীকে জীবনে উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে আমি নিজ বাড়ীতে আসিয়া আমার স্ত্রীকে গুরুত্ব জখামী অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণের উদ্দেশ্য অপরিচিতি লোকের আটোবাইক যোগে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে লইয়া আসি।
তথায় কর্তব্যরত চিকিৎসক (আবাসিক মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স বালিয়াডাঙ্গী)
আমার স্ত্রীকে শারীরিক গুরুত্ব জখমের চিকিৎসা প্রধান
পূর্বক তাহাকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আমার স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন বিবাদীর পরিবারের লোকজন আমি ও আমার স্ত্রীকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাইয়া ভীতসন্রস্ত করেতিছিল।
বিবাদীর অনুরোধের প্রক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড়ের ইউ’পি সদস্য জনাব রাজকুমার গোস্বামী উক্ত বিষয় সমঝোতা তথা আপোষ মিমংসা করিতে পারেন নাই।
এমতাবস্থায় বিবাদীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধ ন্যায় বিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যে আপনার কাছে অনুরোধ করলাম।
এই বিষয়ে সাদ্দাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাদ্দাম কথা বলতে রাজি হয়নি।