পঞ্চগড় প্রতিনিধি।। সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি মির্জা সাবদারুল ইসলাম মুক্তা ও সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল এক যৌথ বিবৃতিতে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে বলেন, যে মুক্তিযুদ্ধ, গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবাধিকার রক্ষার বিষয়গুলো কথা বলার রাজনীতিতে আবদ্ধ হয়ে আছে। রাজনীতিতে লুটেরাদের আধিপত্য ও ধর্মান্ধ শক্তির সাথে আপোষকামীতা মূলত ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগকে মুছে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধকে বিসর্জন দেয়া। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আজ দেশ ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা সকল জনমানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আহবান নিয়ে আমাদের এই পদযাত্রা। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্তব্যবোধ জাগ্রত করে প্রান্তিক মানুষের মর্যাদা ও বৈষম্য নিরসন হোক নির্বাচনে। নিরপেক্ষ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে, শান্তি ও সম্প্রীতির অব্যাহত যাত্রায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠুন। জয় বাংলা। আসুন আওয়াজ তুলিঃ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চাই। সিন্ডিকেটের হাত থেকে মানুষ বাঁচাও, দ্রব্যমূল্য কমাও। অর্থ পাচারকারী, ঋন খেলাপী, লুটেরাদের মনোনয়ন দেয়া যাবে না। সন্ত্রাসবাদ ও জংগিবাদ কঠোর হস্তে দমন কর। সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর। নারী-শিশু নির্যাতন কঠোর হস্তে দমন কর। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৈষম্যহীন সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই। আমার ভোট আমি দেবো, দেশপ্রেমিক, অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রার্থীকে দেবো। রাজনীতি ও নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধপরাধী জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ কর। নির্বাচনোত্তর সহিংসতা প্রতিরোধে যুথবদ্ধ হও। পঞ্চগড় জেলা শাখা প্রেস রিলিজ ছাড়াও মঙ্গলবার জনমানুষের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক প্রেরিত লিফলেট জনসংযোগ করে পঞ্চগড় জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিতরণ ও প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণ করেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন পঞ্চগড় জেলা শাখা সভাপতি মির্জা সাবদারুল ইসলাম মুক্তা ও সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। #