পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সোমবার পঞ্চগড়ের ২টি বিদ্যালয়ে পুতুলনাট্য উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে শহরের পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বিকালে করতোয়া কালেক্টরেট স্কুলে পুতুলনাট্য ‘ গুনাই বিবি’ পালা মঞ্চস্থ করা হয়। লালমনিরহাটের কাজলী অপেরা পুতুল নাচ পরিবেশন করে এই পুতুল নাচ। পরিচালনা করেন কাজলী বেগম। সুর আর গানে গানে শিক্ষার উন্নয়ন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, শেখ হাসিনা ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের বর্ণনা পুতুলের মাধ্যমে তুলে ধরেন ধরা হয়। বড়দের হাত ধরে বিচিত্রধর্মী পুতুল নাট্য উপভোগ করেছে শিশু-কিশোররা। শিশু- কিশোর ও ছোট্টমনিদের উপস্থিতিতে প্রতিটি প্রদশর্নী হয়ে উঠছে হর্ষোৎফুল্ল আর প্রাণোবন্ত। শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক নাটকগুলো উপভোগে বিপূলসংখ্যক শিশুরা এমনকি শিক্ষকরাও কখনো বা সুর মিলিয়ে গান গেয়ে উঠেছে পুতুলের সঙ্গে। আবার জোট বেধে পুতুলের নানা প্রশ্নের উত্তরও দেয় শিশু কিশোররা ।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আবু তোয়বুর রহমান পুতুল নাট্য উৎসবের উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ গড়ার অভিলক্ষ্য আমাদের। ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাব আমরা উন্নতির শিখরে’। ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি, পঞ্চগড়ের ব্যবস্থাপনায় এ পুতুল নাট্য উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
আমাদের লোক সংস্কৃতি ধরে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের সোমনে এটি উপস্থাপন করা হয়েছে। পুতুল নাট্য আমাদের লোক সংস্কৃতির একটি অংশ।এটি হারিয়ে যেতে বসেছে। এটির পৃষ্ঠপোষকতা করেত ও আমাদের সংস্কৃতির শেকড় সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানান দিতেই আমাদের এ আয়োজন।
পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফতাবুর রহমান হেলালী ও করতোয়া কালেক্টরেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাসিমুর হাসান বলেন, পুতুলনাট্য সুস্থ বিনোদনের একটি মাধ্যম। সংস্কৃতিতে সুস্থ ধারা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এমন চমৎকার সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য শিল্পকলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় বিদ্যালয় দুটির শিক্ষকমন্ডলী ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য শহীদুল ইসলাম শহীদ উপস্থিত ছিলেন। #