পঞ্চগড় প্রতিনিধি।। পঞ্চগড়ে জলবায়ু সহনশীল স্বল্প মেয়াদী ব্রিধান ৭৫ মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এটি একটি উচ্চ ফলনশীল, খরা সহিষ্ণু স্বল্প মেয়াদী আমন ধানের জাত। প্রজনন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ দিন বৃষ্টি না হলেও এ জাতটির ফলনের তেমন ক্ষতি হয়না এবং ভুপৃষ্ঠ থেকে পানির স্তর ৭০ থেকে ৮০ সে.মি. নিচে থাকলে ও মাটির আর্দ্রতা শতকরা ২০ ভাগের নীচে নেমে গেলেও ভাল ফলন দিতে সক্ষম। আগাম জাতের এই ধানে হেক্টর প্রতি ফলন হচ্ছে ৩.৭৭ মেট্রিক টন। এই সময়টাতে গো খাদ্যের সংকট থাকায় ধানের কাঁচা খড় অধিক দামের বিক্রয় করে অতিরিক্ত আয় করতে পারে কৃষকরা। আবাদ ওই জমিতে আগাম শীতকালীন ফসল আবাদ করতে পারে।
বুধবার সকালে আরডিআরএস কোর কম্প্রিহেনসিভ প্রোগ্রামের জলবায়ু সহনশীল শষ্য বিন্যাসের আওতায় ব্রিধান ৭৫ কর্তন উপলক্ষে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামে মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামাল হোসেন সরকার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউর হোসেন, আরডিআরএস বাংলাদেশের পঞ্চগড় অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাবক (ক্ষুদ্রঋণ) আতিয়ার রহমান, টেকনিকাল কর্মকতা (কৃষি) রবিউল আলম, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সুপারভাইজার শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাকলাহাট ইউনিয়ন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান শাহিদুর ইসলাম। মাঠ দিবসে চাকলাহাট ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাধারণ সদস্যরা ছাড়াও এলাকার কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামাল হোসেন সরকার বলেন, ব্রিধান ৭৫ যেহেতু একটি খরা সহিষ্ণু ধানের জাত, তাই দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে এ অঞ্চলে এ ধানের সম্ভাবনা আরও বেশী। এই ধান আগাম জাতের হওয়ার ফলে দাম কৃষকরা বেশি পাবে এবং ধানের খড় গবাদি পশুর খাবার যোগান দিবে। যে সময় জমিটি পড়ে থাকতো সে খানে আগাম সরিষা, আলু চাষাবাদ করে কৃষকরা বেশি লাভবান হবে। অল্প সময়ে দুটি ফলন পাওয়া যাবে। এর কারনে কৃষকদের এই ধান চাষাবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মাঝারী উচু জমিতে ব্রিধান ৭৫ চাষাবাদের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এ ধান চাষে কৃষকেরা একটু যত্নশীল হলে এর ফলন ভালো হয়। তাই বর্তমান বাংলাদেশে পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে ব্রিধান ৭৫ জাতের ধানের চাষের ব্যাপকতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। #