
নিজস্ব প্রতিবেদক।।পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ দারুচ্ছালাম নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষ আজিবুর রহমানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ০৫ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করা হলেও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও নীতিমালা অনুসরণ না করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে,। উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে কিন্তু গভর্নিং বডির সভাপতি সেটা জানেন না। সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন সভাপতি ও স্থানীয়রা।
সম্প্রতি অনুসন্ধানে জানা যায়,মাদ্রাসাটির সুপারিন্টেন্ডেন্ট নিয়োগের জন্য দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় ১৪ইজুন১৯৯০ তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।বিএসসি,বিএ, সহকারী মোদারেছ কামিল দ্বিতীয়সহ ০৫ বছরের অভিজ্ঞতা কিন্তু নিয়োগ প্রাপ্ত আজিবুর রহমান কামিল পাশ করেন ১৯৮৯ সালে।অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষক না পেলে নিয়ম আছে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কিন্তু নিয়ম মানা হয়নি।অবৈধভাবে দেয়া হয়েছে নিয়মিত ছাত্র আজিবুর রহমানকে দায়িত্ব।এছাড়াও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন দুজন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনে বারবার অভিযোগ করেও কোন সুরাহ হয়নি।পরবর্তীতে মাদ্রাসাটি দাখিল থেকে আলিম হলে সুপারিন্টেন্ডেন্ট থেকে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যক্ষের।
অভিযোগ রয়েছে,ওই অধ্যক্ষ মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, সভাপতিকে না জানিয়ে তার স্বাক্ষর জাল করে পার্বতীপুরে পরীক্ষা নিয়ে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয় শহিদুল ইসলামকে।যদিও অধ্যক্ষ গভর্নিং বডি সভাপতিকে বুঝিয়েছেন এপদে কোন নিয়োগ হয়না, পদন্নোতিতে হয়।
নিয়োগ প্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম জানান,পরীক্ষায় চারজন অংশগ্রহন করেছি,অত্র মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।ডিজির প্রতিনিধি ছিলেন, বগুড়া সরকারি মুস্তাফারিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান। তবে ডিজির প্রতিনিধি অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান বলেন,ওই মাদ্রাসার নিয়োগ সম্পর্কে আমার জানা নাই। আমার নাম ভুয়া ভাবে ব্যবহার করছে।
মাদ্রাসা গভর্নিং বডি সভাপতি আজম উল করিম জানান,অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি জানিনা আর উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে অধ্যক্ষ আমার স্বাক্ষর জাল করে।অধ্যক্ষ
আমাকে বলেছেন এপদে কোন নিয়োগ হয়না, পদন্নোতিতে হয়।
দেবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সলিমুল্লাহ জানান,ওই মাদরাসার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ।অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন তার ছেলে।নিয়োগের বিষয়ে আমাকে কিছু জানায়নি