বাদল খন্দকার, ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলা সংবাদদাতা, খুনি দুরের কেউ নয় আপন ভাগ্নি জামাইয়ের হাতেই খুন হয়েছেন ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলা বান্চারামপুরের জেসি আঔার ও তার দুই সন্তান। জেসিকে হত্যা পর দেখে ফেলার একে একে তার দুই সন্তান কে হত্যা করে ভাগ্নি জামাই জহিরুল ইসলাম। হত্যা করে পাওয়া সময় বাহির থেকে গেইটে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় জহিরুল ইসলাম। পুলিশ জহিরুল কে গতকালই আটক করেছে। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলছে না পুলিশ কমকর্তারা। এদিকে নিহত জেসির পিতা হাজী আবুল হোসেন বাদী হয়ে অড্গাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে বান্চারামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন সকালে বান্চারামপুরের আইয়ূব পুর ইউনিয়নের চরছয়ানী গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের বসতঘর থেকে তার স্ত্রী জেসি আঔার (৩৫) বড় ছেলে মাহিন(১৭) ছোট ছেলে মহিন(৭) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং খুনিদের আটক করতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম। পুলিশের একটি দায়িত্ব শীল সূএজানায় জেসির বড় বোন শিল্পী আঔারের মেয়ে ১৯/২০ বছর বয়সী আনিকা আঔারের জামাই জহিরুল। আনিকার সাথে জহিরুলের বনিবনা ছিলোনা। এ নিয়ে শ্বশুর বাড়ির সাথে কলহ চলছিলো জহিরুলের। এ বিষয় টি নিয়ে কথা বলতে সোমবার খালা শাশুড়ী জেসির বাড়িতে আসে জহিরুল। তার আসার বিষয় টি জেসি তার বোন শিল্পী কে ফোন করে জানালে জহিরুল কে জায়গা না দিতে বলেন শিল্পী। এরপর জেসি জহিরুল কে চলে যেতে বললে সে ক্ষুব্ধ হয় জেসির উপর। একপর্যায়ে জেসির পরিবার নিয়ে আপওিকর কথা বললে জেসি দা নিয়ে এগিয়ে আসে জহিরুলের দিগে। দা কেড়ে নিয়ে কোপ দিয়ে জেসিকে প্রথম হত্যা করে। এ সময় জেসির বড় ছেলে মাহিন এগিয়ে এলে তাকেও হত্যা করে শান্ত হয়নি জহিরুল ৭ বছরের মহিনকে হত্যা পালিয়ে যাওয়া সময় গেইটের বাহিরে তালা মেরে চলে যায়,পরে দিন কাজের বুয়া অনেক ডাকাডাকি করে কোন উওর না পাওয়া ও ডাকাডাকি আওয়াজ শুনে ছুটে এসে তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পাই এই হত্যা কান্ড।ওই দিনই পুলিশ খবর পেয়ে জহিরুল কে নরসিংদী মাধবদীর আলগী গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্র জানায় স্বীকারোক্তি মৃলক জবানবন্দির জন্য জহিরুল কে আজ আদালতে পাটানো হবে।এর পরই পুলিশের উধ্বতন কমকর্তারা এ বিষয়ে প্রেসব্রিফিং করবেন।