স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড়,স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে শেখ রাসেল দিবসে স্মার্ট ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌরসভা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ উদ্ভাবনী প্রস্তাবনার ক্যাটাগরিতে স্মার্ট জেলা বাস্তবায়নে পুরস্কার পেলেন পঞ্চগড়ের জেলা।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শেখ রাসেল দিবসে ‘স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়কে একটি স্মার্ট জেলা হিসেবে ঘোষণা করে পুরস্কিত করায় আনন্দ ও গর্ববোধ করছেন এ জেলার মানুষ।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দাখিলকৃত ৮৯টি উদ্ভাবনী প্রস্তাবনার মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় এ পাঁচটি জেলাকে নির্বাচিত করে সরকার। এসব উদ্ভাবনী প্রস্তাবণার মধ্যে ছিল চট্টগ্রাম জেলায় স্মার্ট স্কুল বাস চালু, কক্সবাজারে ওয়ান স্টপ সার্ভিস ফর ট্যুরিস্ট, ঢাকায় অগ্নি নির্বাপণ ও গ্যাস নি:সরণ রোধ ব্যবস্থাপনা, ঠাকুরগাঁওয়ে স্মার্ট খাদ্যশস্য মজুদ ব্যবস্থাপনা ও পঞ্চগড়ে স্মার্ট ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌরসভা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
এসব ক্যাটাগরিতে উদ্ভাবনী প্রস্তাবনাকে নির্বাচিত করে ৫ জেলার জেলা প্রশাসককে বুধবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেল দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পুরস্কার গ্রহনের জন্য উপস্থিত থাকতে বলা হয়। ফলে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে শেখ রাসেল দিবসে জেলা প্রশাসকদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ও পৌরসভায় নাগরিক সেবায় ডিজিটাল লেনদেন হিসেবে ক্যাশলেস সুবিধা চালু করা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ও নিজেদের তৈরি সফটওয়ারের মাধ্যমে এ জেলার মানুষ পাচ্ছে ডিজিটাল-ক্যাশলেস সেবা। যে কাজে সময় লাগতো ১৫ দিন এখন তা করতে সময় লাগছে মাত্র ২ থেকে ৫ ঘণ্টা। নগদ অর্থের লেনদেন নেই বললেই চলে। দেশে বা বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে নাগরিকরা তাদের কাংখিত সেবা সফটওয়ারের মাধ্যমে বিনা ভ্রমনে অনলাইনে আবেদন দাখিল ও সেবা গ্রহণের সুবিধা পাচ্ছেন। এতে করে স্মার্ট বাংলাদেশের বিনির্মানের অংশ হিসেবে স্মার্ট জেলায় পরিণত হয়েছে পঞ্চগড়। আজ ক্যাশলেস সেবায় পুরো দেশকে পথ দেখাচ্ছে পঞ্চগড়।
প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে স্মার্ট জেলা হিসেবে জেলা প্রশাসক পুরস্কার পাওয়া বিষয়ে জেলা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যে পঞ্চগড় জেলাকে স্মার্ট জেলা হিসেবে নির্বাচন করে শেখ রাসেল পদক প্রদান করায়। স্মার্ট জেলা হিসেবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্মার্ট কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসককে সম্মানে ভূষিত করেছেন এজন্য আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। পাশাপাশি সম্প্রতিকালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে জেলায় স্মার্ট শিক্ষা, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট কার্ড লক্ষে আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাব। ইনশাআল্লাহ্ আমরা অল্প সময়ের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যে, তিনি আমাদের পঞ্চগড়ে স্মার্ট জেলা হিসেবে ঘোষণা করে জেলা প্রশাসকের হাতে শেখ রাসেল দিবসে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন। আমরা ধন্য ও কৃতজ্ঞ যে, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। আমরা উন্নত দেশের দিকে ধাবিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারাই এটা সম্ভব। আশা করছি আগামী নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হবেন দেশের উন্নয়নধারা অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে আমরা আমাদের পঞ্চগড় জেলাকে নাগরিক সেবায় ডিজিটাল লেনদেন হিসেবে ক্যাশলেস সেবা সিস্টেম চালু করার সুবাধে স্মার্ট জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছি। এ কারণে আজ শেখ রাসেল দিবসে স্মার্ট জেলা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার ও পদক গ্রহণ করেছি। এ পুরস্কার পেয়ে আমাদের কাজের গতি, দায়িত্ববোধকে বাড়িয়ে দিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে পঞ্চগড়ের সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। #