1. info@www.dailyzhornews.com : দৈনিক ঝড় :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় স্থাপনের দাবি ছাত্রজনতার দেবীগঞ্জে চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করলেন ডিসি দীর্ঘ ১৯ বছর পর বোদা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন বোয়ালখালী সদরে গোমদন্ডী পাইলটস্কুলের হলরুমে জিয়া স্মৃতি পরিষদ’র উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বালিয়াডাঙ্গীতে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জোর পূর্বক গ্ৰাম্য সালিশ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথ দেখানো এক আলোকবর্তিকা — সাইমুন মজুমদার দেশে বাড়ছে রাজনৈতিক – আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল চীনের হাসপাতাল।। পঞ্চগড়ে করার দাবিতে উত্তাল পঞ্চগড়।। মুসল্লিদের অবস্থান মানববন্ধন আধুনিকতার ছোয়ায় হারিয়ে গেছে শৈশবের খেলাধূলা চার মাসের সন্তানকে বিক্রি করে দেহকে সাজসজ্জা ও মোবাইল কিনলেন মা!

উপজাতি সন্ত্রাসীরা এখন আর চাঁদার জন্য লোকালয়ে আসেনা বাঙ্গালীরাই তাদের চাঁদা দিয়ে আসে!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো একটা সময় অস্ত্রক্রয়, সাংগঠনিক পরিচালনা এবং বেতন-ভাতার জন্য চাঁদা উত্তোলন করতে বাঙ্গালী গ্রামগুলোর লোকালয়ে আসত চিঠিপত্র আদানপ্রদান করতে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় বাঙ্গালী দালালদের দৌরাত্ম বেড়ে যাওয়াই সাম্প্রতিক সময়ে তারা আগের পুরাতন রীতি অনুযায়ী আর মাসিক, বাৎসরিক কিংবা যে কোনধরনের চাঁদা উত্তোলন করেন না। স্থানীয় বাঙ্গালীদের মধ্যে একটা অংশ রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ীক সুবিধার জন্য উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর চাঁদা যথাস্থানেই পৌছে দিয়ে আসেন প্রায়শ্চই৷ পর্যাবেক্ষণে এমনই সত্যতা মিলেছে। কিছু কিছু জায়গাতে ব্যতিক্রম রয়েছে৷ বাঙ্গালীরা চাঁদা সন্ত্রাসীদের ডেরাতে দিয়ে আসাতেই চাঁদা আদায়ে সন্ত্রাসীদের বেগ পেতে হয়না৷ স্থানীয় বাঙ্গালী দালালরা অতিশয় সম্মানে চাঁদা নিয়মমাফিক সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছিয়ে দেয়!

এই নিয়মে চাঁদা আদানপ্রদানের সত্যতা জানতে দীর্ঘদিন থেকে আমরা পর্যাবেক্ষণে রেখেছিলাম চিহ্নিত কিছু ঠিকাদার, গরু ব্যবসায়ী, অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ী ও যানবাহন চালককে।
বলে রাখি নিরাপত্তা জনিতকারণে বিশদ বর্ণনা করছি। শুধুমাত্র চাঁদা কারা কীভাবে দিচ্ছে তার ধরনটা উল্লেখ করছি-

একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের কাজ পেয়েছে এক ঠিকাদার। পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী কবলিত এলাকা বা তাদের নিয়ন্ত্রণ এলাকায় কাজ করতে হলে কাজের বরাদ্দের ৫% দিতে হয়। এটা তাদের নির্ধারণ করা কিন্তু অভিযোগ আছে তারা যেমন খুশী তেমনি চাঁদা আদায় করে এবং ১০% হারেও চাঁদা আদায় করে। উক্ত ঠিকাদার ১০% হিসেব করে ৮ লক্ষ্য টাকা চাঁদা সন্ত্রাসী সংগঠনের চীফ কালেক্টর এর নিকট পৌছে দিয়েছে ১৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে। এক রাজনৈতিক নেতা নির্বাচনে অংশ নিবে জয় নিশ্চিত করতে ৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ১৪ লক্ষ্য টাকা দিয়ে এসেছেন! গরু ব্যবসায়ী তাদের পাহাড়ের ভিতরে গিয়ে গরু কিনতে হয় তাই হয়তো তাদেরকে টোকেন পাহাড়ে ভিতরের গিয়ে করতে হয়। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই গরু ব্যবসায়ীরা বাৎসরিক টোকেন করেন ৬ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে। এর মধ্যে কিছু গরু ব্যবসায়ী বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। নিষিদ্ধ সেগুন-গামারি ও পাহাড়ি বিলুপ্ত গাছগাছালি পাচারকারী চক্র অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ী সবচেয়ে বেশি চাঁদা প্রদান করে সন্ত্রাসীদের ডেরায় গিয়ে। কাঠ ব্যবসায়ীদের মধ্যে একশ্রেণী আছে তারা সেনাটহল এর আগাম তথ্য সন্ত্রাসীদের নিকট আদান প্রদান করে থাকে। তারা সন্ত্রাসীদের রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় যাতায়াত করার অনুমতি পেয়ে থাকেন। বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে চাঁদা নেওয়ার যে, তথ্যের প্রয়োজন হয় সে তথ্য কিন্তু এই অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ী
থেকে পেয়ে থাকে সন্ত্রাসীরা। তারা মাসিক বাৎসরিক চাঁদার টোকেন সংগ্রহ করেন এবং পারমিট গাছের ফুট প্রতি ১০০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে থাকেন৷ তারা বাঙ্গালী এলাকা হতে বিভিন্ন চাঁদা উত্তোলন করে সন্ত্রাসীদের নিকট পৌঁছে দেন। তাদের মত একই নিয়ম অনুসরণ করেন ভাড়া চালিত মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন৷ তারাও সন্ত্রাসীদের গিয়ে চাঁদা পৌঁছে দেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীদের থেকে সন্ত্রাসীরা এখন এই রীতিতে চাঁদা আদায় করে৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে-গোপনে চললেও সবাই জানে। সংশ্লিষ্ট মহলগুলো এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক৷ পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বত্র এই নিয়মে চাঁদা দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু এই চাঁদা প্রদানকারী বাঙ্গালী দালালদের বিরুদ্ধে কোনপ্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এবং তাদের এই রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম বন্ধে রাষ্ট্রীয় যে, পদক্ষেপগুলো থাকার কথা তাও নেই৷ সংশ্লিষ্ট মহলের এই রহস্যজনক নীরবতার ভূমিকায় অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ী ও দালালরা নির্ভয় ও নির্বিঘ্নে সন্ত্রাসীদের পাহাড়ের গভীরে গিয়ে চাঁদা দিয়ে আসেন। তাই সন্ত্রাসীরা আর বাঙ্গালী লোকালয়, উপজেলা বা জেলা সদরে না এসেও চাঁদা পেয়ে যাচ্ছেন। মূলত একারণে সন্ত্রাসীরা এখন অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকে। দুই দশকে সরাসরি চাঁদা আদায়কালে সন্ত্রাসীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে বর্তমানে বাঙ্গালী দালালদের মাধ্যমে চাঁদা উত্তোলন করার কারণে সন্ত্রাসীরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

সন্ত্রাসীরা চাঁদা গ্রহণ করার সময় বিশেষ কায়দা কৌশল অবলম্বন করে। যে কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকছে। যে বাঙ্গালী দালাল তাদের গন্তব্যেস্থানে গিয়ে চাঁদা প্রদান করে তাকে ৫/৬ জন দিয়ে ভেরিফিকেশন করা হয় এবং নির্ধারিত সময় ও স্থান বারবার পরিবর্তন করেই নিশ্চিত হওয়ার পরেই চাঁদার টাকা গ্রহণ করে। একটি দেশের রাষ্ট্র প্রদানের সাথে একজন সাধারণ জনতার সাক্ষাতে নিরাপত্তার যত আয়োজন ও ঝামেলা পোহাতে হয় তার চেয়ে বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় চাঁদা প্রদান করতে। তারপরও স্থানীয় বাঙ্গালী দালালরা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য রাষ্ট্রের বৃহৎ ক্ষতি করে চাঁদা প্রদান করেই যাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং