স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর ডোমারে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করায় ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো: আলমগীর কবির কে কাউন্সিলার আক্তারুজ্জামান সুমন সাইডে ডেকে নিয়ে গেলে সেখানে ৩০/৪০,জন নেতা কর্মি ছিল তৎক্ষনাৎ ফোন দিয়ে মেয়রকে নিয়ে আসলে মেয়র সহকারী অধ্যাপক কে অকথ্য খারাপা ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মাইর দেওয়ার জন্য চরাও হয় সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।।

আর এই মানব বন্ধন অভিভাবক সহ এলাকাবাসী পালন করে।

সম্প্রতি ওই প্রধান শিক্ষকের সহিত একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকার অনৈতিক কার্যকলাপের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দির ভিডিও ভাইরাল হলে ফুসিয়ে উঠে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর সকাল ১১ ঘটিকায় ডোমার বাজারস্ত বাটার মোড়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এই সময় উক্ত মানববন্ধনে সহকারী শিক্ষিকার স্বামী অভিভাবকদের মানববন্ধনে একাত্মতা ঘোষণা করায় মানববন্ধনটি ভিন্ন মাত্রা পায়।

উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত একাধিক অভিভাবকরা প্রতিনিধিকে বলেন, গত ০৩ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডোমার বালিকা বিদ্যা নিকেতনের
প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুকের পরকীয়া প্রেমে ধরা পড়ে এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তার কূকর্মের সত্যতা স্বীকার পূর্বক ক্ষমা প্রার্থনার জবানবন্দির ভিডিও ফাঁস হয়।
ভিডিওতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুকসহ একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ডোমার রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকার শিক্ষিকার বাড়িতে গত ০১ আগষ্ট রাত্রি সাড়ে এগারোটা প্রবেশ করে এবং ০২ আগষ্ট ভোররাত্রী ৩টা ৫৮ মিনিটে রাত্রিযাপন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ার পর প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা স্বীকার পূর্বক ক্ষমা চাওয়ার জবানবন্দির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এমন দুশ্চরিত্র প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষিকা প্রতিষ্ঠানে থাকলে আমাদের বাচ্চারা তাদের কাছ থেকে কি শিক্ষা গ্রহণ করবে, আর তারাই বা আমাদের বাচ্চাদের কি শিক্ষা দেবে এটা আমরা ভেবে পাচ্ছি না। এর পাশাপাশি আমরা আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে প্রতি মূহুর্তের জন্য দুশ্চিন্তাসহ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি, রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে ফলাফল কি হবে? তাই আমাদের একটাই দাবি অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষিকাকে অপসারণ করে আমাদের কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে আমাদের ভবিষ্যতে প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শিক্ষামন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। তারা আরও বলেন, যদি এর পরেও কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে ঐ বিদ্যালয় থেকে বের করে আনবো এবং কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করবো।
সহকারী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেন
আমার বউ পরকীয়া করবে আমি বাঁধা দিতে পারবোনা
আমার বউ ইয়াসমিন আক্তার আশা আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে পরকীয়া করে যাবে অপর দিকে আবার নামে আবার যৌতুকের মামলা করছে।
আমার মাথায় আসেনা সেই স্কুলের মেয়র সাহেব সভাপতি ওনার স্কুলের এই দুইজন দুশ্চরিত্রতা শিক্ষক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে আমার উপর কেন চরাও হলো আর একজন মেয়রের এমন আচরণ আশা করা যায় না,তিনি ক্ষমতার দাপটে এমন করে আমি এর সুষ্ট বিচার দাবী করি দৈনিক ঝড় কে বলেন

মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুল আলম বিপিএএ বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম (বিপিএএ) জানান, অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।