ঝড় প্রতিবেদন ।। সীমান্তঘেঁষা বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর উপজেলা ও রাণীশংকৈল উপজেলার আংশিক নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাঁও ২ আসন। এই আসনটিকে বলা হয় আওয়ামী লীগের দুর্গ। এখানে টানা পাঁচটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের টিকিটেই এমপি হয়েছেন আলহাজ্ব মো. দবিরুল ইসলাম। এবার তিনি ছাড়াও মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী স্থানীয় কিছু নেতা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন – বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. দবিরুল ইসলাম, তাঁর বড় ছেলে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের টানা দুইবারের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তাক আলম টুলু, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ভাষাসৈনিক মো. দবিরুল ইসলামের ছেলে ছাত্রনেতা আহসান উল্লাহ ফিলিপ, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আসলাম জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার রায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী।
তবে প্রার্থীদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজনের জনপ্রিয়তা এখন সবার র্শীষে।
স্থানীয়রা জানান, গত দুটি সংসদ নির্বাচন তার বাবা বিজয়ী হলেও অসুস্থতার কারণে উন্নয়ন এবং সার্বিক মানুষের সেবার কাজ তার বড় ছেলে মাজহারুল ইসলাম সুজনকে দিয়ে পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়াও রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজে নিজেকে যুক্ত রেখেন সুজন ইতিমধ্যে তরুণদের আইডল হিসেবে পরিণত হয়েছেন। মানবিক কাজগুলো চলমান রাখায় সাধারণ মানুষ তাকে এখন মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন।
দুই যুগের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের দখলে থাকায় এই আসনে বিএনপি কিছুটা অগোছালো। বেশিরভাগ সময় জামায়াতের সাবেক জেলা আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম লড়াই করলেও স্থানীয় বিএনপি নেতারা চান এই আসনটিতে মির্জা ফখরুল বা তার পরিবারের কেউ লড়াই করুক। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ডা. আব্দুস সালাম। এছাড়াও জামায়াতের পক্ষে জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিমের নাম শোনা যায়।