স্টাফ রিপোর্টার।। ‘কমিউনিটির আমন্ত্রণ, এইডস হবে নিয়ন্ত্রণ’ এই প্রতিপাদ্যে শুক্রবার পঞ্চগড়ে পালিত হয়েছে বিশ^ এইডস দিবস। এ উপলক্ষে সিভিল সার্জন অফিস র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। সকালে সিভিল সার্জন অফিস চত্বর থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে আবার সেখানে এসে শেষ হয়। পরে সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. এসআইএম রাজিউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এ সময় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) থেকে সৃষ্ট ইমিউন ডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোম (এইডস) সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এবং এই রোগে আক্রান্তদের সহায়তা করার জন্য প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়। বছরের পর বছর ধরে, চিকিৎসা গবেষণার অগ্রগতি, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উন্নত চিকিৎসার কারণে এইচআইভি এইডস সংক্রমণ ও চিকিৎসায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে। সামাজিক অবস্থান, সুশীল সমাজ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পিছিয়ে থাকা চিন্তা ভাবনার কারণেই এইচআইভি প্রতিরোধ ও চিকিৎসার অগ্রগতিতে বাধা পড়ছে। যদি এই বাধাগুলি দূর করা যায়, তবে দেশে এইচআইভি রোধে আরও সাহায্য হতে পারে, এইডস একেবারে নির্মূল করা সম্ভব হতে পারে। তিনটি কারণে এইডস রোগ হতে পারে। এর প্রথমটি দুজন মানুষের শারীরিক মিলনের মাধ্যমে, দ্বিতীয়, ইনজেকশনের মাধ্যমে হতে পারে, ইনজেকশন যদি শেয়ার করে বা রক্ত দেওয়ার মাধ্যমে হতে পারে। তিন নম্বর হচ্ছে, মায়ের থেকে সন্তানের হতে পারে। বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এইচআইভি সংক্রমিত এক হাজার ১০০ জন শনাক্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এইডস শনাক্ত করার জন্য সারা দেশে ২৭টি কেন্দ্র রয়েছে এবং চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় ১১টি কেন্দ্র থেকে, যা শুধু প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল আলম, বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. মনসুর আলম, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আমির হোসেন, কার্ডিওলোজিস্ট মাহবুবল আলম, ডা.এসএম শরীফ আফজাল ও স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিয়াউদ্দিন বক্তব্য দেন।